নয়াদিল্লি: তীব্র সমালোচনার মধ্যেও নিজের অবস্থানে অনড় ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারত-সহ একাধিক দেশের উপর শুল্কের পাল্টা শুল্ক বসিয়েছেন তিনি। বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে চিনের সঙ্গে রীতিমতো যুদ্ধ শুরু হয়েছে আমেরিকার। আর সেই আবহেই অন্য দেশগুলির সম্পর্কে তির্যক মন্তব্য করে বসলেন ট্রাম্প। শুল্কের ফাঁস থেকে মুক্তি পেতে সকলে রীতিমতো হাতেপায়ে ধরছেন বলে দাবি করলেন ট্রাম্প। (US Tariff War)
ন্যাশনাল রিপাবলিকান কংগ্রেসনাল কমিটির বৈঠকে মঙ্গলবার অন্য দেশগুলিকে রীতিমতো তাচ্ছিল্য করতে দেখা যায় ট্রাম্পকে। জানান, শুল্কের ফাঁস থেকে মুক্তি পেতে তাঁর সঙ্গে সমঝোতা করতে চাইছে সকলে। তার জন্য সবকিছু করতে পারে দেশগুলি। কিন্তু তাঁর চেয়ে ভাল দরদাম কেউ করতে পারে না বলেও দাবি করেন। ঘটনাচক্রে আজ থেকেই ভারতের উপর আমেরিকার চাপানো ২৬ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হয়েছে। (Donald Trump)
বাণিজ্য শুল্ক নিয়ে অন্যদের সঙ্গে যে টানাপোড়েন চলছে, তা নিয়ে ট্রাম্প বলেন, “আমি আপনাদের বলছি, ওই সব দেশ ফোন করেই চলেছে। আমার পদলেহন করে যাচ্ছে (kissing my a**)। সমঝোতায় আসতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। বলছে, ‘স্যর, সবকিছু করতে রাজি আছি’।”
চিনের সঙ্গে বাণিজ্যশুল্ক নিয়ে টানাপোড়েন কার্যত যুদ্ধের আকার নিয়েছে। চিনের উপর সম্প্রতি ৩৪ শতাংশ শুল্ক চাপান ট্রাম্প। এর পর, চিনও আমেরিকার পণ্যের উপর সম পরিমাণ শুল্ক বসায়। একদিন আগে আবার চিনের উপর শুল্কের হার বাড়িয়ে ১০৪ শতাংশ করেছে আমেরিকা। ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্তে দেশের অন্দরে তো বটেই, রিপাবলিকানদের মধ্যেও মতানৈক্য দেখা দিয়েছে। এভাবে না চললে আমেরিকা বিক্রি হয়ে যাবে বলে মত ট্রাম্পের। শীঘ্রই ফার্মা সংস্থাগুলির উপর শুল্ক বসানো হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
- ফেব্রুয়ারি মাসে প্রথমবার চিনা পণ্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক চাপায় আমেরিকা।
- মার্চ মাসে আরও ১০ শতাংশ চাপানো হলে শুল্কের হার ২০ শতাংশ হয়।
- গত সপ্তাহে আরও ৩২ শতাংশ কর চাপান ট্রাম্প। ফলে চিনা পণ্যের উপর আমেরিকার শুল্ক বেড়ে ৫৪ শতাংশ হয়।
- গতকাল আরও ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়ে ১০৪ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে।
অন্য দেশগুলিও ট্রাম্পের শুল্ক থেকে রক্ষা পায়নি। ট্রাম্পের এই নীতির সমালোচনায় সরব হয়েছে তাবড় দেশ। আমেরিকার অন্দরেও সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে।