রাজা চট্টোপাধ্যায়, জলপাইগুড়ি : ভুটান পাহাড় ও ডুয়ার্সে চলছে টানা বৃষ্টি। কখনো হালকা থেকে মাঝারি আবার কখনো অতি ভারী বৃষ্টি। একাধিক নদীতে বাড়তে শুরু করেছে জল। আজ সকালেও তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া হয়েছে তিন হাজার কিউসেক । এদিকে হঠাৎ করে হড়পা বানে নদীর মাঝেই আটকে গেলেন বাইক আরোহী। ডুয়ার্সের বানারহাট ব্লকের রেতি নদীর ঘটনা। নদীতে জল বেড়ে যাওয়ায় চরম বিপাকে রেতি থেকে শুরু করে বানারহাটের কারবালা বাগানে যাওয়া আসা করা মানুষজন।


বানারহাট ব্লক এবং মাদারিহাট ব্লকের শেষ সীমানা মধ্যে দিয়ে বয়ে গিয়েছে রেতি নদী। নদীর এক পাশে বানারহাট  ব্লকের কারবালা চা বাগান । অন্যদিকে ব্লকের শেষ প্রান্তে বান্দা পানি এবং রেতি বস্তি। নদীর এই দুই পাড়ের বাসিন্দাদের প্রায় প্রতিদিন বিভিন্ন প্রয়োজনের খাতিরে এই নদী পারাপার করতে হয়।


এদিনও প্রয়োজনের খাতিরে অনেকেই মোটর বাইক নিয়ে বান্দা পানি থেকে বানারহাট আসছিলেন। কেউ আবার বানারহাট থেকে বান্দাপানি যাচ্ছিলেন। যখন নদীর মাঝামাঝি জায়গায় কিছু মানুষ তখন আচমকাই ভুটানে বৃষ্টির জেরে নদীতে জল বাড়তে শুরু করে। যার ফলে নদীর মাঝখানেই আটকে পড়েন তাঁরা। অনেকেই সাহস করে পায়ে হেঁটে নদী পার করে চলে এলেও, কিছু কিছু মানুষ মোটর বাইক নিয়ে তখনও পার হতে পারেননি, নদীর মাঝে দাঁড়িয়ে থাকেন জল কমার অপেক্ষায়। অনেককেই আবার নদীর মাঝখানে মোটর বাইক ফেঁসে যাওয়ায় বাইক ঠেলে নদী থেকে নিরাপদ জায়গায়  তুলতে দেখা গেল। রীতিমতো জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলছে পারাপার।


এদিকে ক্রমাগত বৃষ্টিতে ফুঁসছে কোচবিহারের নদীগুলি, মাথাভাঙার দইভাঙ্গিতে মানসাই নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবনের আশঙ্কায় কয়েক হাজার মানুষ। সম্প্রতি মাথাভাঙা ১ নম্বর ব্লকের হাজরাহাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় দইভাংগী এলাকায় মানসাই নদীর নির্মীয়মাণ বাঁধ ভেঙে গেছে, সেখান দিয়ে জল  ঢুকছে গ্রামে। ফলে, বন্যার আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসী। সমস্যার সমাধানের আশ্বাস দিয়েছে সেচ দফতর।