নয়াদিল্লি: চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি শক্তিশালী রেডার কিনতে চলেছে ভারতীয় সেনা। সূত্রের খবর, দেশের পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব সীমান্তে এই রেডারগুলি মোতায়েন করা হবে।


রবিবারই, প্রতিরক্ষাক্ষেত্রে 'মেক ইন ইন্ডিয়া'-র ওপর জোর দিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহ। মঙ্গলবারই প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে অন্তত ৬টি স্বাতী উইপন লোকেটিং রেডার (ডব্লিউএলআর) কিনতে চলেছে ভারতীয় সেনা।


এই রেডারের নকশা তৈরি করেছে ভারতের প্রতিরক্ষা গবেষণা সংস্থা ডিআরডিও। তৈরি করেছে ভারত হেভি ইলেক্ট্রিকাল্স লিমিটেড(ভেল)। জানা গিয়েছে, ৬টি উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন রেডারগুলির দাম পড়বে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।


প্রসঙ্গত, জম্মু ও কাশ্মীরে পাক সীমান্ত লাগোয়া নিয়ন্ত্রণরেখায় এই স্বাতী সিস্টেম মোতায়েন করে রেখেছে সেনা। ২০১৮ সালে সেনাকে পরীক্ষার জন্য এই রেডার দেওয়া হয়েছিল।


প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মতে, স্বাতীর অন্তর্ভুক্তি সেনাকে অনেকটাই শক্তি ও ভরসা জোগাবে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চিন কোথায় তাদের আর্টিলারি মোতায়েন করেছে, তার একেবারে নিখুঁতভাবে চিহ্নিত করতে সক্ষম এই রেডার।


সবচেয়ে বড় কথা, এর পাল্লা হল ৫০ কিলোমিটার। এই রেঞ্জের মধ্যে শত্রু কোথায় কোথায় মর্টার, শেল ও রকেট মোতায়েন করেছে, তা একেবারে ছবির মতো স্পষ্ট হয়ে উঠবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। একসঙ্গে একাধিক ও বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র চিহ্নিত করতে সক্ষম এই রেডার।


শুধু যে ভারতীয় সেনা এই রেডার ব্যবহার করে তাই নয়। ইতিমধ্যে আর্মেনিয়াকে এই রেডার রফতানিও করছে ভারত। এর জন্য রাশিয়া ও পোল্যান্ডকে ছেড়ে এই রেডার কিনতে ভারতের সঙ্গে ৪ কোটি মার্কিন ডলারের চুক্তি করেছে আর্মেনিয়া।


কীভাবে কাজ করে স্বাতী?


প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শত্রুর ছোঁড়া কোনও শেস বা মর্টার অথবা রকেট কোন দিশা দিয়ে এসেছে, তা কোনও ট্র্যাজেক্টরি অনুসরণ করেছে, তা গণনা করে রিভার্স ম্যাথেম্যাটিক্সের মাধ্যমে শত্রুর সেই জায়গাকে নিখুঁত ও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে চিনিয়ে দেবে স্বাতী রেডার।