নয়াদিল্লি: দিবাকর সোলাঙ্কির জীবনে একটাই দুঃখ। সদ্য প্রয়াত ঋষি কপূরের ছবি শর্মাজি নমকিন-এ ছোট্ট একটি রোল পেয়েছিলেন। কিন্তু করা হল না, লকডাউন শুরু হয়ে গেল। আর তারপর ঋষিই তো চলে গেলেন না ফেরার দেশে।


অভিনয় দিবাকরের নেশা বেশি, পেশা কম। অন্তত ১০ বছর ধরে দিল্লির পথে ফল বিক্রি করছেন তিনি। পাশাপাশি ছোটখাটো চরিত্রে অভিনয় করা বলিউডি ছবিতে। কিন্তু উপার্জনের জন্য ফল বিক্রিই ভরসা। তিনি বলেছেন, শর্মাজি নমকিন ছবিতে তরমুজ বিক্রেতার চরিত্রে অভিনয়ের কথা ছিল। ঋষি কপূরের সঙ্গে ২-৩টি ডায়ালগও ছিল তাঁর। শ্যুটিংয়ের তারিখও ঠিক হয়ে যায়। কিন্তু তারিখ দু’তিনবার পাল্টাল, তারপর ঋষি অসুস্থ হয়ে পড়লেন, মুম্বই চলে গেলেন। তাঁর মৃত্যু হল, শ্যুটিং আর হল না। ঋষির সঙ্গে অভিনয়ের জন্য তিনি মুখিয়ে ছিলেন। কিন্তু কাজ না করার দুঃখ নিয়েই বাঁচতে হবে।

দিবাকর থাকেন দিল্লির শ্রীনিবাসপুরী এলাকায়। ঠেলাগাড়ি করে ফল বিক্রি করেন মালব্যনগর ও লাজপতনগরে। বাড়িতে রয়েছেন স্ত্রী, ২ সন্তান। ২০১৪-য় তিতলি ছবিতে প্রথম দেখা যায় দিবাকরকে। গত বছর সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে করেছেন সোনচিড়িয়া ও আয়ুষ্মান খুরানার সঙ্গে ড্রিম গার্ল। অভিনয় নিয়ে তাঁর এতটাই প্যাশন, যে চরিত্র যতই ছোট হোক, তিনি তা ফুটিয়ে তুলতে কখনও দ্বিধা করেন না। এই সব ভূমিকায় কাজ করে টাকা প্রায় কিছুই আসে না হাতে। তাতে অবশ্য কেয়ার করেন না দিবাকর, ফল বিক্রি করে দিব্যি তাঁর সংসার চলে যায়।

দিবাকর বলেছেন, নিজের শহর উত্তর প্রদেশের আচনেরায় সিনেমা হলের বাইরে পাঁপড় বিক্রি করতেন তিনি। তখন থেকে অভিনয়ের শখ। যদি নিয়মিত ছবিতে কাজ পান তবে আর ফল বিক্রি করতে হবে না। তাঁর ইচ্ছে, ১০০০ ছবিতে অভিনয় করা। কিন্তু হাতে তো কাজ তেমন নেই, ফলে বাধ্য হয়েই ফল বেচেন তিনি। নেটফ্লিক্সের দ্য হোয়াইট টাইগার-এও এবার দিবাকরকে দেখা যাবে। এতে তিনি নেগেটিভ চরিত্রে রয়েছেন। মুখ্য ভূমিকায় আছেন রাজকুমার রাও ও প্রিয়ঙ্কা চোপড়া।