নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাস নিয়ে দেশব্যাপী আতঙ্কের মধ্যেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা জানালেন উত্তরপূর্ব ভারতের দিল্লিনিবাসী দুজন মহিলা। এঁদের একজন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়়ুয়া। তাঁদের অভিযোগ, গত ৩ মার্চ বিশ্ববিদ্য়ালয় ক্যাম্পাসের বাইরে কয়েকজন বাইক-আরোহী তাঁদের গায়ে জলভরা বেলুন ছুঁড়ে মারে, এমনকী ‘করোনাভাইরাস’ বলে ডাকে তাঁদের! কমলা নগরের কাছে রূপনগর থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন তাঁরা। জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে এক পুরুষ বন্ধুও ছিলেন। বাইকআরোহী লোকজন তাঁদের গোপনাঙ্গ নিশানা করে বেলুন ছোড়ে, জাতপাতবিদ্বেষী মন্তব্য করে ‘এই করোনাভাইরাস’ বলেও কটাক্ষ করে।
দুই মহিলার দাবি, বাইকবাহিনীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে উত্তরপূর্ব হেল্পলাইনে গেলে আরও খারাপ অভিজ্ঞতা হয় তাঁদের। সেখানে পুলিশ তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করে, হোলির এলে এসব স্বাভাবিক ব্যাপার, আকছারই হয়। দিল্লি, হরিয়ানার বাকি মহিলাদের মতো তাঁদেরও হাতে লাঠি নিয়ে চলাফেরার পরামর্শ দেয় থানা। তাঁদের কাছে না এসে বরং তাঁরা রূপনগর থানায় গেলে ভাল করতেন, এও বলে থানার লোকজন। যদিও শেষ পর্যন্ত পরদিন সকালে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ (মহিলার মর্যাদাহানির লক্ষ্যে অপরাধমূলক হামলা), ১৮৮ (সরকারি কর্তার জারি করা নির্দেশ অমান্য করা) ধারায় এফআইআর দায়ের করা হয়।
রাজধানীর বুকে উত্তরপূর্বের মহিলাদের হেনস্থা, হয়রানির ঘটনা নতুন কিছু নয়। সোমবার মেঘালয় থেকে আসা দিল্লি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের এক ছাত্রীও ইভটিজিংয়ের শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন।
অতীতে দিল্লিতে মেয়েদের নিশানা করে বীর্যভর্তি বেলুন ছুড়ে মারার অভিযোগে শোরগোল হয়েছিল।