ভিন্নধর্মের মেয়েকে ভালবাসার কারণে ২০১৮-তে এই দিল্লিতেই খুন হয়ে যান তরতাজা তরুণ অঙ্কিত সাক্সেনা। সে ক্ষেত্রেও অভিযোগের আঙুল ওঠে প্রেমিকার বাড়ির লোকের দিকে, এমনকী মেয়েটির মাও খুনে সক্রিয় ভূমিকা নেন। অভিযোগ, রাহুলের ক্ষেত্রেও প্রায় একই ঘটনা ঘটেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি রাহুল ইংরেজির টিউশন দিতেন। তাঁর পরিবার জানিয়েছে, ৭ তারিখ ১৮ বছরের সদ্যতরুণ টিউশন সংক্রান্ত একটি ফোন পান, বলা হয়, বাড়ির কাছে একটি সরু গলিতে তাঁর সঙ্গে কেউ দেখা করতে এসেছে। অভিযোগ, তাঁর 'প্রেমিকা'ই নাকি তাঁকে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে গেলে মেয়েটির ভাই সহ ৭-৮ জন নির্মমভাবে পেটায় তাঁকে।
অজ্ঞান অবস্থায় বিআরজেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।
তাঁর বাবা জানিয়েছেন, রাহুল ও তাঁর প্রেমিকা এক সঙ্গে পড়াশোনা করতেন। মেয়েটির ভাই কোথাও তাঁদের এক সঙ্গে দেখে ফেলে। এরপরেই অন্য ছেলেদের ডেকে এনে রাহুলকে পিটিয়ে খুন করে সে। রাহুলের এক আত্মীয় জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি দেখেন, রাহুলের জামাকাপড় ছেঁড়া। তাঁর মুখ লাল, চোখ, ঠোঁট ফুলে ঢোল। ঘটনার ন্যায় বিচার চেয়েছেন তাঁরা।
এখনও পর্যন্ত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। খুনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।