নয়াদিল্লি: তেলঙ্গানার বাসিন্দা ওদনালা রাজেশ করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন দুবাইয়ের এক হাসপাতালে। সেরে উঠতে সময় লেগেছে ৮০ দিন। সেরে ওঠার পর পিলে চমকে যাওয়ার যোগাড়। হাসপাতাল বিল করেছে ১ কোটি ৫২ লক্ষ টাকা!
৪২ বছর বয়সি রাজেশ তেলঙ্গানার জাগতিয়াল জেলার ভেনুগুমাতলা গ্রামের গাল্লাপাল্লি মন্ডলের বাসিন্দা। কর্মসূত্রে তিনি ছিলেন দুবাইয়ে। গত ২৩ এপ্রিল তাঁর শরীরে করোনা ধরা পড়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেরে ওঠার পর হাতে পান এই পেল্লাই বিল।
ভারত থেকে অনেকেই গিয়ে দুবাইয়ে থাকেন কাজের সূত্রে। তাঁদেরই সংগঠন গাল্ফ ওয়ার্কার্স প্রোটেকশন সোসাইটির সভাপতি গুন্ডেল্লি নরসিম্মা বিষয়টি দুবাইয়ে ভারতীয় দুতাবাসের নজরে আনেন। তারপরই দূতাবাস একটি চিঠি পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। লেবার কনসাল হরজিৎ সিং চিঠিতে লেখেন, রাজেশের বাড়ির লোকজন আমাদের অনুরোধ করেছেন তাঁকে যেন ভারতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। মানবিকতার খাতিরে ওঁর চিকিৎসার বিলটি মকুব করার আবেদন জানাচ্ছি। এই বিপুল পরিমাণ অর্থ দেওয়ার সাধ্য ওঁর পরিবারের নেই। সেই আবেদনে সাড়া দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বেসরকারি হাসপাতালগুলি চিকিত্সা দিয়ে রোগীর গলা কাটে, এমন চলতি ধারণার উল্টো পথে হাঁটে তারা।
কিন্তু রাজেশের বাড়ি ফিরে যাওয়ার মতো টাকাও না থাকায় অশোক কোটেচা নামে এক ব্যক্তি রাজেশ এবং তাঁর সঙ্গে যাওয়ার জন্য দয়ভরা কঙ্কিয়া নামে এক ব্যক্তির জন্য হায়দরাবাদ যাওয়ার প্লেনের টিকিট কেটে দেন। আনুষাঙ্গিক খরচের জন্য আরও ১০ হাজার টাকাও তাঁদের দিয়েছেন।