নয়াদিল্লি: লকডাউনের সময় অনলাইন শপিংয়ের বলিষ্ঠ উদাহরণ-- "পা না রেখেই আয়ারল্যান্ডের দক্ষিণ উপকূলবর্তী দ্বীপ কিনুন ৫৫ লক্ষ পাউন্ড স্টারলিং খরচ করেই।"


স্বপ্ন নয় একেবারে ঘোর বাস্তব। এমনই এক দ্বীপ কিনেছেন এক অজ্ঞাতপরিচয় ইউরোপীয় ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, আয়ারল্যান্ডের কূলবর্তী ওয়েস্ট কর্কে বুকোলিক অতলান্তিক অঞ্চলের অন্তর্গত রোরিং ওয়াটার বে-তে অবস্থিত ১৫৭ একর বিস্তৃত হর্স দ্বীপ কিনেছেন। কেনার আগে, তিনি ওই দ্বীপের ভিডিও ফুটেজ দেখেছেন মাত্র।


দ্বীপের মালিকানা হস্তান্তরে সাহায্য করা মন্তাগ রিয়েল এস্টেটের কর্ণধার থমাস বালাশেভ বলেন, ওই ব্যক্তি (ক্রেতা) ভিডিও দেখেই দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের প্রেমে পড়ে যান। বালাশভ জানান, ওই ব্যক্তি ব্রিটিশ দ্বীপপুঞ্জে এমনই একটি দ্বীপ চেয়েছিলেন। হর্স দ্বীপের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য তাঁকে আকৃষ্ট করে। দ্বীপ কেনার আগে তিনি একবারও সেই জমিতে পা রাখেননি। কেবলমাত্র সেখানকার ভিডিও দেখেছেন।


জানা গিয়েছে, দ্বীপে সাতটি বাড়ি রয়েছে। প্রধান বাড়িতে ৬টি বেডরুম রয়েছে। এছাড়া রয়েছে একটি পিয়ার, হেলিপ্যাড, জিম, টেনিস কোর্ট, একটি প্লে-হাউস। বাড়িতে নিজস্ব বিদ্যুৎ, জল ও নিকাশি ব্যবস্থা রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে তিনটি সৈকত, একটি কৃষি ও চারণভূমি ও সর্বোপরি দুরন্ত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য।


বালাশেভের মতে, নিরিবিলি অবসর-- প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং নৈসর্গিক নিঝুম পরিবেশ পছন্দ হলে এই দ্বীপ আদর্শ। তিনি জানান, করোনাভাইরাস অতিমারী শুরুর আগে থেকেই একটি দ্বীপ কেনার জন্য খুঁজছিলেন ক্রেতা। করোনা সঙ্কট শুরু হওয়ার পর থেকেই তিনি যত দ্রুত সম্ভব এই চুক্তি সারতে চেয়েছিলেন।


বালাশভের দাবি, ভিক্টোরিয়ান যুগে হর্স দ্বীপে একটি তামার খনি ছিল। ১৩৭ জন বসবাস করতেন। পরে, তা জনশূন্য হয়ে যায়। খনির ফলে স্থানীয় গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। পরে, জার্মান ধনকুবের তথা ফিটনেস বিশেষজ্ঞ আশির দশরকে দ্বীপটি কিনে তা র পুনরুদ্ধার করেন।


পরে, ২০০৭ সালে তা ফের হস্তান্তর হয়ে চলে যায় আইরিশদের কাছে। ২০১৮ সাল থেকেই এই দ্বীপকে বিক্রির জন্য ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়। দাম রাখা হয়েছিল ৬১ লক্ষ পাউন্ড স্টারলিং। চলতি বছর দাম কমানো হয়।