কলকাতা: মুহূর্তের অসাবধানতা। আর তাতেই চলে গেল তরতাজা একটা প্রাণ। ওড়না হয়ে উঠল মৃত্য়ু ফাঁদ। ওড়না কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তার সাক্ষী থাকল কলকাতা। গলায় ওড়না জড়ালেও যথেষ্ট সতর্ক থাকা উচিৎ তা প্রমাণ করে দিল বাঁশদ্রোণীর ঘটনা।

কী ঘটেছিল?

শনিবার রিকশায় চেপে যাচ্ছিলেন বছর পঞ্চাশের সাবিত্রী মিস্ত্রি। বাঁশদ্রোণী থানা এলাকায় ব্রহ্মপুর বাদামতলা সম্প্রীতি অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা নিরঞ্জন মিস্ত্রি এবং সাবিত্রী মিস্ত্রি। এদিন দুপুরে নিরঞ্জনবাবু স্ত্রী এবং শ্যালিকাকে নিয়ে বেরিয়েছিলেন। ব্য়াটারি চালিত রিকশার চাকায় আচমকা সাবিত্রী দেবীর ওড়না পেঁচিয়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে রাস্তায় পড়ে যান ওই মহিলা। ওই অবস্থাতেই হ্যাঁচড়াতে হ্যাঁচড়াতে তাঁকে টেনে নিয়ে যায় রিকশাটি। যতক্ষণে রিকশা চালক গতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন তখন ততক্ষণে গুরুতর আঘাত লেগেছে। গলায়,ঘাড়ে আঘাত লাগার পাশাপাশি মাথায় চোট লাগে ওই মহিলার। রক্তাক্ত অবস্থায় বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।

কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও পাতলা জিনিস গলায় থাকাকালীন টান লাগলে আঘাতের তীক্ষ্ণতা বেশি হয়ে থাকে। সাধারণত ওড়না পাতলাই হয়। ওই প্রৌঢ়া চলমান গাড়িতে ছিলেন। ফলে টান পড়েছে ওড়নায়। তাই মারাত্মক আঘাত লেগেছে। তবে কীসের আঘাতে মৃত্য়ু হয়েছে তা ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে বোঝা যাবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

স্বামী এবং বোনের সামনেই ঘটল এই দুর্ঘটনা। অথচ তাঁরা কিছুই করতে পারলেন না। গোটা ঘটনায় স্তম্ভিত মৃত প্রৌঢ়ার পরিবার। কীভাবে এই ঘটনা ঘটল তা এখনও বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। পুলিশ সূত্রে খবর, ব্য়াটারি চালিত রিকশা হওয়ায় চালকের রিকশা থামাতে কিছুটা সময় লাগে। আর ততক্ষণে মহিলার গলা রীতিমতো ফালা ফালা হয়ে যায়। গুরুতর আঘাত লাগে মাথাতেও। তবে নিহতের পরিবারের এ নিয়ে কোনও অভিযোগ জানায়নি।