করাচি: পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ আনলেন এক মহিলা। তাঁর অভিযোগ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করেন বাবর। এর ফলে তিনি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপর বিয়ে করার বদলে মারধর করেন এবং হুমকি দেন এই ক্রিকেটার।


সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওই মহিলা দাবি করেছেন, ‘বাবর যখন ক্রিকেটার হয়ে ওঠেনি, তখন থেকে ওকে আমি চিনি। ও গরিব পরিবারের ছেলে ছিল। বাবর আর আমি একই অঞ্চলে বড় হয়ে উঠেছি। আমরা ছোটবেলা থেকেই বন্ধু ছিলাম। পরবর্তীকালে আমরা একসঙ্গেই থাকতাম। ও আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। ও আমাকে অন্তঃসত্ত্বা করে দেয়। ও আমাকে মারধর করে, হুমকি দেয়। ও আমাকে ব্যবহার করেছে। আশা করি আমার ভাই-বোনেরা ন্যায়বিচার পেতে সাহায্য করবেন, যাতে আর কোনও মেয়ের আমার মতো পরিণতি না হয়।’

ওই মহিলা আরও দাবি করেছেন, ‘বাবর আমার স্কুলের বন্ধু ছিল। ২০১০ সালে ও আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। ও আমার বাড়িতে এসে এই প্রস্তাব দেয়। আমি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের বোঝাপড়া গড়ে ওঠে। আমরা বিয়ের পরিকল্পনা করি। বাড়িতে সে কথা জানাই। কিন্তু পরিবারের লোকজন রাজি হননি। এরপর আমি আর বাবর বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিই। ২০১১ আমি বাবরের সঙ্গে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাই। ও আমাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। আমরা একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতে শুরু করি। আমি বারবার বিয়ের কথা বলতে থাকি, কিন্তু ও বলে, আমরা বিয়ে করার মতো অবস্থায় নেই। ঠিক সময় এলে আমরা বিয়ে করব।’

ওই মহিলা আরও জানিয়েছেন, ‘সব খরচ আমাকেই দিতে হত। এমনকী, বাবরের ক্রিকেট খেলার জন্য যে টাকা দরকার হত, সেটাও আমি দিতাম। ২০১৬ সালে আমি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ি। এরপরেই বাবরের আচরণ বদলে যায়। ও আমাকে মারধর শুরু করে, হুমকি দেয়।’

বাবর এখন জাতীয় দলের সঙ্গে নিউজিল্যান্ড সফরে আছেন। তাঁদের ক্রাইস্টচার্চে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন-পর্ব কাটাতে হচ্ছে। দলের সাতজন সদস্য করোনা আক্রান্ত। তাঁদের আলাদা জায়গায় রাখা হয়েছে। বাবরের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ নিয়ে এখনও পর্যন্ত পিসিবি-র কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।