দুর্গাপুর: দুর্গাপুর ব্যারাজে ভাঙা লকগেট মেরামতি নিয়ে মেয়র দিলীপ অবস্থির সঙ্গে সেচ দফতরের আধিকারিকদের বাদানুবাদ হল। পুরসভার সঙ্গে সমন্বয় না রাখার অভিযোগ উঠেছে সেচ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, সকাল থেকে জল না পাওয়ার অভিযোগ করেছেন পুর এলাকার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা। যদিও মেয়রকের দাবি, পর্যাপ্ত জল সরবরাহ করা হয়েছে।


দুর্গাপুর ব্যারাজ পুরোপুরি খালি হওয়ার আগেই সকালে বালির বস্তা ফেলে সাময়িকভাবে জল আটকে মেরামতির কাজ শুরু করেন সেচ দফতরের কর্মীরা। পুরো জল বার হতে আরও কয়েক ঘণ্টা সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে। সেচ দফতরের দাবি, জল পুরোপুরি বেরিয়ে গেলে ৩১ নম্বর লকগেটের ক্ষতিগ্রস্ত অংশে মেরামতির কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। অন্যদিকে, জলের সঙ্কট রুখতে মজুত করা জলই আজ সরবরাহ করেছে দুর্গাপুর পুরসভা ও দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট। দুর্গাপুর পুরসভা, দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্ট কর্তৃপক্ষকে আগেই জল মজুত রাখতে বলা হয়। সেই জলই আজ ও কাল, এই দু’ দিন সরবরাহ করা হবে।

দুর্গাপুর ব্যারাজে লকগেট ভাঙায়, বাঁকুড়ার মেজিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতির আশঙ্কা রয়েছে। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জল সরবরাহ না হলে, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি দেখা দেবে বলে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছেন মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্পের ডিজিএম। শুধু মেজিয়া নয়, বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হবে ডিভিসির দুর্গাপুর স্টিল থার্মাল পাওয়ার স্টেশনেও। এই দুই বিদ্যুৎ প্রকল্পের উৎপাদন ক্ষমতা তিন হাজার মেগাওয়াটের বেশি। মেজিয়া বিদ্যুৎ প্রকল্প কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মজুত করা জলে আগামী ২ দিন উৎপাদন স্বাভাবিক থাকবে।