মেদিনীপুর : চাকরির নাম করে প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হলেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের এক গ্রুপ ডি কর্মী। পুলিশের অনুমান, এর পিছনে বড় চক্র থাকতে পারে। ধৃতকে জেরা করে সেটাই জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।


টাকা দিলেই চাকরি হয়ে যাবে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে গ্রুপ-সি পদে। এমনই টোপ দিয়ে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগে এখন পুলিশের জালে হাসপাতালেরই গ্রুপ ডি কর্মী।


মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা শেখ আজহার উদ্দিনের অভিযোগ, চাকরির নাম করে তাঁর থেকে ৫ লক্ষ টাকা হাতিয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের গাইনোকোলজি ওপিডির এক কর্মী। ৮ নভেম্বর কোতয়ালি থানায় অভিযোগ করেন তিনি। তার ভিত্তিতেই শুক্রবার রাতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।


অভিযোগকারী যুবকের দাবি, টাকা নিয়ে তাঁকে চাকরির ব্যবস্থাও করে দেওয়া হয়েছিল। বছর খানেক হাসপাতালে কাজ করার সময় বেতনও বৃদ্ধি হয় তাঁর। নগদে তাঁকে বেতন দেওয়া হত। তারপর কোভিড পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হয়।


শেখ আজহারউদ্দিন নামে অভিযোগকারী বলেন, ভুয়ো ট্রেনিং এর সার্টিফিকেট, ভুয়ো অ্যাপয়েনেমমন্ট লেটার। দফায় দফায় ৫ লাখ টাকা। আরও অনেকের সঙ্গে হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। কড়া পদক্ষেপ করা হোক। তিনি জানান, পরে খোঁজখবর করতে গেলে, অ্যাপয়েনমেন্ট লেটার দেখে সন্দেহ প্রকাশ করেন আধিকারিকরা। তাতে লেখা, ভুল বানান সন্দেহ আরও দৃঢ় হয়।


জানা গিয়েছে, ধৃত মহিলা হাসপাতালের কোয়ার্টারেই থাকতেন। শনিবার তাঁকে মেদিনীপুর জেলা ও দায়রা আদালতে তোলা হলে ১০ দিন পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। তাঁর দাবি, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। 


এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়ার জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যোগাযোগ করা হলে কোনও মন্তব্য করতে রাজি হননি অ্যাস্টিস্ট্যান্ট সুপার সুস্মিতা দে। পুলিশ সূত্রে খবর, একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে মহিলার বিরুদ্ধে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের পিছনে আরও কারা রয়েছে, জানার চেষ্টা হচ্ছে।