নয়াদিল্লি: বিপজ্জনক জঙ্গিদের (dreaded terrorist) উপর নিষেধাজ্ঞা (sanction) চাপানোর সিদ্ধান্তে রাজনীতি (politics) যেন বাধা না হয়ে দাঁড়ায়, নাম না করে চিনকে বার্তা ভারতের বিদেশমন্ত্রী (EAM) এস জয়শঙ্করের (S Jaishankar)।


কী বললেন জয়শঙ্কর?
ইউক্রেন প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদের এক আলোচনায় এই বার্তা দেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। কথা হচ্ছিল 'দায়মুক্তির বিরুদ্ধে লড়াই' শীর্ষক বিষয়ে। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই জয়শঙ্কর বলেন, 'আমরা যেন দায়মুক্তিকে উৎসাহ না দিই। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এই কক্ষেই বিশ্বের বিপজ্জনক জঙ্গিদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো নিয়ে এমনই ঘটতে দেখেছি। ' এর পরই সংযোজন, 'দিনেদুপুরে ঘটে চলা এই ধরনের অপরাধের যদি শাস্তি না হয়, তা হলে এই পরিষদ দায়মুক্তির ব্যাপারে কী বার্তা পাঠাচ্ছে সেটা নিয়ে ভাবা দরকার। বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে হলে ধারাবাহিক ভাবে কাজ করা দরকার।' হঠাৎ কেন এমন মন্তব্য করলেন বিদেশমন্ত্রী? আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞদের ব্যাখ্যা, পরোক্ষে চিনের সমালোচনা করেছেন তিনি। হালে নিরাপত্তা পরিষদে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি সাজিদ মিরের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর যে প্রস্তাব আমেরিকা এনেছিল, তাতে সমর্থন করে ভারত। কিন্তু চিন যথাপূর্বং সেই প্রস্তাব ঝুলিয়ে রেখেছে। কোনও বিপজ্জনক জঙ্গির উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানো নিয়ে ভারত ও আমেরিকার গত কয়েক মাসে যে কটি প্রস্তাব দিয়েছে, তার তিনটে এই ভাবে ঝুলিয়ে রেখেছে চিন। এর আগে আব্দুল রহমান মাক্কি এবং আব্দুল রউফ আজহারের ক্ষেত্রেও একই জিনিস করেছিল তারা। উল্লেখ্য, হালেই পূর্ব লাদাখের গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণ থেকে চিনের সঙ্গে সেনা সরানোর প্রক্রিয়া শেষ করেছে ভারত।


পূর্ব লাদাখ সীমান্ত...
ডেডলাইন ছিল। সূত্রের খবর, একেবারে সেই মোতাবেকই গত ১৩ সেপ্টেম্বর পূর্ব লাদাখের গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণ এলাকার ১৫ নম্বর প্যাট্রলিং পোস্ট থেকে সরে গিয়েছে ভারত ও চিনের সেনা। যদিও ভারতের সেনাপ্রধান মনোজ পাণ্ডেকে অন্য় একটি অনুষ্ঠানে এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বলেন, 'আমাকে গিয়ে পরিস্থিতির খতিয়ান নিতে হবে। তবে যা ঠিক হয়েছিল সে রকমই চলছে।' সরকারি সূত্র অনুযায়ী, একেবারে পরিকল্পনামাফিকই পূর্ব লাদাখের গোগরা উষ্ণ প্রস্রবণের ১৫ নম্বর প্যাট্রলিং পয়েন্ট থেকে সেনা সরিয়েছে ভারত ও চিন। শুধু তাই নয়। নিয়ম মেনে দু-পক্ষ বিষয়টি খতিয়ে দেখে নিশ্চিত করেছে। উল্লেখ্য, গালওয়ান উপত্যকা এবং প্যাংগং লেকের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তের যে বিন্দুগুলি নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছিল, তার সবকটির সমাধান পাওয়া গিয়েছে। বাকি ছিল এটিই। সূত্রের খবর, পিপি-১৫ তো বটেই, গোটা পূর্ব লাদাখ সেক্টর থেকেই সেনা সরানোর ব্যাপারে তদ্বির করছিল বেজিং। যদিও নয়াদিল্লির কোনও তাড়াহুড়ো ছিল না।


আরও পড়ুন:'মানুষ যখন রাস্তায় থাকে, তখন আমি পাহারাদার হিসেবে পাহারায় থাকি', পুজো উদ্বোধনে এসে বার্তা মমতার