ফের ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল বাংলাদেশের মাটি। ফের বৃহস্পতিবার ভোরে। স্থানীয় সময় তখন সকাল ৬:১৪ মিনিট। বাংলাদেশের মাটি কেঁপে ওঠে থরথরিয়ে। রিখটার স্কেলে মাত্রা ছিল ৪.১ । কিছুদিন আগেই পরপর দুই দিন বাংলাদেশে ভূমিকম্প হয়। গত মাসে, ৫.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে বহু মানুষ প্রাণও হারান। সেই অভিঘাতে দুলে ওঠে পশ্চিমবঙ্গের মাটিও। কলকাতাতেও ভালরকম অনুভূত হয় ভূমিকম্পের দুলুনি। 

Continues below advertisement

বৃহস্পতিবার ভোরে   মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে  রাজধানী ঢাকাতেও।  পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে অনুভূত হয়েছে। European-Mediterranean Seismological Centre- কে উদ্ধৃত করে  tbsnews.net জানিয়েছে,ঢাকার স্থানীয় সময় সকাল ৬:১৪ মিনিটে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে, এবারও ভূমিকম্পের কেন্দ্র ছিল নরসিংদীতে, মাটির ৩০ কিলোমিটার গভীরে।                 

এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশের এক পোর্টালে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,ভূমিকম্পের উৎসস্থল খুব গভীরে না- হওয়ায়, ঢাকা এবং আশেপাশের জেলাগুলি কেঁপে ওঠে। গতবারের  অভিজ্ঞতা থেকেই ভূমিকম্প নিয়ে আতঙ্কিত বাসিন্দারা। দ্য ডেইলি স্টার সংবাদপত্রের প্রতিবেদনে  উল্লেখ, ভারতীয়, মায়ানমার এবং ইউরেশিয়ান তিনটি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশ অবস্থিত হওয়ায়,বিশেষ ভূমিকম্পপ্রবণ।  বিশেষজ্ঞদের মতে,  ভবিষ্যতে, নিয়ম মেনে নগরোন্নয়ন ও জলাভূমি রক্ষার ওপর জোর না দিলে বড় বিপদের আশঙ্কা থেকেই যাবে।            

Continues below advertisement

গত মাসে, ৫.৭ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প বাংলাদেশে আঘাত হানে। তাতে ১০ জন নিহত হন। ঢাকাকে বিশ্বের ২০টি ভূমিকম্প-ঝুঁকিপূর্ণ শহরের মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ঢাকা শহর ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। সেই সঙ্গে শহরে রয়েছে বহু পুরনো বিপজ্জনক বাড়ি।  তাই শক্তিশালী কম্পন হলে বিরাট ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে।  পরিসংখ্যান বলছে,  ১৮৬৯ থেকে ১৯৩০ সালের মধ্যে পাঁচটি বড় কম্পন হয়েছে । যার মাত্রা রিখটার স্কেলে ৭.০ এর উপরে।  

গত ২১ নভেম্বর, তীব্র কম্পন অনুভূত হয় কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী জানা যায়,  ভূমিকম্পের উৎসস্থল বাংলাদেশে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৭।  কম্পনের উৎসস্থল ছিল বাংলাদেশের নরসিংদী এলাকা। কম্পনের জেরে ব্যাপক প্রভাব দেখা যায় বাংলাদেশে। বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলো সূত্রে খবর, সেখানে ভূমিকম্পের জেরে মৃত্যু হয় বেশ কয়েকজনের। আহতের সংখ্যা  হাজার ছাড়িয়ে যায়।