স্যান্টিয়াগো : এবার তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল চিলির দক্ষিণ উপকূল ও আর্জেন্তিনা। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে দেশের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত ম্যাগেলান প্রণালীর সমগ্র উপকূলীয় অংশ থেকে জনসাধারণকে সরে যাওয়ার সতর্কবার্তা জারি করেছে চিলি প্রশাসন। সুনামির সতর্কবার্তা জারি করা হয়েছে। ওই অংশের মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে বলা হয়েছে। চিলির National Service for Disaster Prevention and Response-এর তরফে জনগণের উদ্দেশ্যে এই বার্তা। তবে,ভূমিকম্পে এখনও পর্যন্ত কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। চিলির অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলের সমস্ত সৈকত এলাকা ছেড়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
চিলির প্রেসিডেন্ট গ্যাব্রিয়েল বোরিক X-হ্যান্ডেলে লিখেছেন যে, সম্ভাব্য জরুরি অবস্থার মোকাবিলার জন্য সবকিছু তৈরি রাখা হয়েছে। তিনি লিখেছেন, "আমরা ম্যাগালানেস অঞ্চল জুড়ে উপকূলরেখা খালি করার আহ্বান জানাচ্ছি। এই মুহূর্তে আমাদের কর্তব্য প্রস্তুত থাকা এবং প্রশাসনের কথা শোনা।" বিশ্বের সবচেয়ে দক্ষিণে অবস্থিত আর্জেন্টিনার উশুয়াইয়া শহরে, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ প্রশাসন তিন ঘণ্টার জন্য বিগল চ্যানেলে সকল ধরনের ওয়াটার অ্যাক্টিভিটি এবং নৌচলাচল স্থগিত করেছে। কোনও ক্ষয়ক্ষতি বা সরিয়ে নেওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, "ভূমিকম্পটি মূলত উশুয়াইয়া শহরে এবং কিছুটা কম পরিমাণে প্রদেশের শহরগুলিতে অনুভূত হয়েছে"। "এই ধরনের ঘটনার মুখোমুখি হলে, শান্ত থাকা গুরুত্বপূর্ণ।"
সদ্য মায়ানমার ও থাইল্যান্ডে ঘটে গেছে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্প। দিনকয়েক আগে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুর্কির ইস্তানবুল। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.২। এমনই জানায় সেদেশের ইমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি। ঘটনায় ক্ষয়ক্ষতির হিসাব পাওয়া যায়নি। তবে, শহরে কম্পন অনুভূত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিল্ডিং ও অফিস থেকে বেরিয়ে আসেন বহু মানুষ। বসফরাস প্রণালীর ইউরোপীয় এবং এশীয় তীরে অবস্থিত এই শহর। আমেরিকার জিওলজিক্যাল সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.২ এবং গভীরতা ছিল ১০ কিলোমিটার। এর কেন্দ্রস্থল ইস্তানবুল থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দূরে দক্ষিণ-পশ্চিমে মারমারা সাগরে। প্রাথমিকভাবে, ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির কোনও খবর সামনে না এলেও, সোশাল মিডিয়ায় একাধিক ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যায়, আতঙ্কে বহু মানুষ বিল্ডিং ও অফিস থেকে রাস্তায় নেমে এসেছেন। হঠাৎ, এত জোরে বিল্ডিং কেঁপে ওঠায় অনেকেই রাস্তায় দাঁড়িয়েও রীতিমতো আতঙ্কিত ছিলেন। ইস্তানবুল শহর থেকে মাত্র ৪০ কিলোমিটার দূরে এর কেন্দ্রস্থল থাকায় তীব্র কম্পন অনুভূত হয়। যা তুর্কির সবথেকে জনবহুল শহরের মানুষকে আতঙ্ক ধরানোর জন্য যথেষ্ট ছিল।