এই প্রেক্ষাপটে জেটলি ট্যুইট করেছেন, ২০১১-১২ অর্থবর্ষে আর্থিক নীতির ক্ষেত্রে অনিশ্চয়তা চরম স্তরে চলে গিয়েছিল। সেখান থেকে সুস্পষ্ট আর্থিক নীতির পর্বে ভারতের উল্লম্ফন ঘটেছে। ভারতের আর্থিক সমৃদ্ধির কাহিনির গ্রাফ এখন ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। ট্যুইটে স্বচ্ছ ভারত কর্মসূচির প্রসঙ্গও টেনেছেন জেটলি। লিখেছেন, এটা এমন এক ব্যতিক্রমী কর্মসূচি যা ভারতে মানুষের আচার-ব্যবহারে পরিবর্তন ঘটিয়েছে। এই উদ্যোগ এখন এক গণ আন্দোলন হয়ে উঠেছে যা সূচনা করেছে স্বচ্ছ ও সুন্দর ভারতের।
আর্থিক সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ব্যবহারগত অর্থনীতি থেকে পাওয়া অভিজ্ঞতা, সূত্রকে কৌশল হিসাবে ব্যবহার করে সামাজিক বদলের আকাঙ্খা সামনে রেখে এক আশামুখী এজেন্ডা তৈরি করা যায়। যেমন, ‘বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও’ থেকে ‘বেটি আপকি ধন লক্ষ্মী ঔর বিজয় লক্ষ্মী’, ‘স্বচ্ছ ভারত’ থেকে ‘সুন্দর ভারত’, ‘রান্নার গ্যাসে ভর্তুকি ছেড়ে দেওয়া’ থেকে ‘ভর্তুকি নিয়ে ভাবুন’ ও কর ফাঁকি থেকে কর ব্যবস্থা মেনে চলা।
নির্মলার পেশ করা আর্থিক সমীক্ষায় ভারত বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বেড়ে চলা অর্থনীতির তকমা ধরে রাখতে পারবে বলেও অনুমান করা হয়েছে।
মুখ্য অর্থনৈতিক উপদেষ্টা কে ভি সু্ব্রহ্মণ্যম বলেছেন, এই আর্থিক সমীক্ষা হল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে স্বপ্ন দেখিয়েছেন, তা পূরণের ব্লুপ্রিন্ট। প্রতি বছরই ভারতকে ৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধির লক্ষ্যে গতি বাড়ানো উচিত বলে অভিমত জানিয়েছেন তিনি। নির্মলাও একই কথা বলেছেন। তিনি সমীক্ষায় এও বলেছেন, বিনিয়োগের হার ২০১১-১২ থেকে কমছিল। তবে তা ব্যাঙ্কঋণ ও ভোক্তার চাহিদা বৃদ্ধির ফলে বাড়তে পারে। যদিও আর্থিক মন্দার জেরে কর-রাজস্ব সংগ্রহে প্রভাব পড়েছে। কৃষি সেক্টরে সরকারি ব্যয় বাড়ছে। দুইয়ে মিলে অর্থনীতির ওপর চাপ পড়তে পারে।
যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অভিমত, ভারতের ৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের অর্থনীতি হয়ে ওঠার রাস্তা রয়েছে এই আর্থিক সমীক্ষায়। সামাজিক সেক্টরের অগ্রগতি, প্রযুক্তি গ্রহণ করা ও শক্তি ক্ষেত্রে সুরক্ষার ফলে সাফল্যের বিষয়গুলিও তুলে ধরা হয়েছে এতে।
এদিকে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম ট্যুইটে কটাক্ষ করেছেন, প্রাক-বাজেট সমীক্ষায় সেক্টরভিত্তিক অগ্রগতির কোনও আভাস নেই। সরকার নিজেই যেন অর্থনীতির ব্যাপারে নিরাশাবাদী। ২০১৮-১৯ এর আর্থিক সমীক্ষায় যা বলা হয়েছে, তা ইতিবাচক বা উত্সাহমূলক, কোনওটাই নয়।