মুম্বই: বিমানযাত্রায় আটকে গেলেন মহারাষ্ট্রের উপমুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে। প্রায় এক ঘণ্টা বিমানবন্দরে আটকে রইলেন তিনি। কিন্তু যান্ত্রিক ত্রুটি বা আবহাওয়াজনিত সমস্যার জেরে নয়, পাইলট বেঁকে বসাতেই বিপাকে পড়লেন শিন্ডে। জানা যাচ্ছে, ডিউটির জন্য নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গিয়েছে জানিয়ে বেঁকে বসেন পাইলট। বিমান ওড়াতে চাননি তিনি, তার জেরেই শিন্ডের উড়ান আটকে যায়। (Eknath Shinde)

শুক্রবার মুক্তিনগরে 'পালকি যাত্রী'য় অংশ নেন শিন্ডে। সেখানে এমনিতেই দেরিতে পৌঁছন। ৩টে বেজে ৪৫ মিনিটে জলগাঁও পৌঁছনোর কথা থাকলেও, যান্ত্রিক গোলযোগের জেরে প্রায় আড়াই ঘণ্টা দেরিতে পৌঁছন। এর পর মুক্তিনগরে শোভাযাত্রায় অংশ নেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী গিরীশ মহাজান, গুলাবরাও পাটিল ও অন্য আধিকারিকরা। 'পালকি যাত্রা'র পর সন্ত মুখতাই মন্দিরেও যান শিন্ডে। এর পর রাত, ৯টা বেজে ১৫ মিনিটে জলগাঁও বিমানবন্দরে পৌঁছন মুম্বই ফেরার জন্য। (Maharashtra News)

কিন্তু বিমানবন্দরে পৌঁছে বিপাকে পড়েন শিন্ডে। তাঁর ব্যক্তিগত বিমানের পাইলটই বেঁকে বসেন। জানিয়ে দেন, ডিউটির সময় পেরিয়ে গিয়েঠে তাঁর। আর বিমান ওড়াবেন না। তাঁর শরীরও ভাল যাচ্ছে না, অসুস্থ বোধ করছেন বলে জানান। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে বিমান ওড়ানোর জন্য ছাড়পত্রের প্রয়োজন পড়ে। তাতে অনেকটা সময় অতিবাহিত হয়ে যায়। 

এর পর দুই মন্ত্রী এবং আধিকারিকরা ওই পাইলটের মানভঞ্জন করতে নামেন। প্রায় ৪৫ মিনিট দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত বিমান ওড়াতে রাজি করানো যায় পাইলটকে। বিমানটিকে ওড়ানোর জন্য এর পর ছাড়পত্রও আদায় করা হয়। শেষ পর্যন্ত বিমানে ওঠেন শিন্ডে। মহাজন বলেন, "পাইলটের শারীরিক সমস্যা ছিল কিছু। পাশাপাশি সময় নিয়েও সমস্যা হচ্ছিল। যান্ত্রিক ত্রুটিও ধরা পড়ে। বিমান সংস্থার সঙ্গে কথা বলি আমরা। ওরা পাইলটের সঙ্গে কথা বলে। খুব বড় বিষয় নয়।" মহাজন বড় বিষয় নয় বললেও, বিষয়টি নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

তবে ফেরার পথে এক কিডনি রোগীকে সাহায্য় করতেও এগিয়ে যান শিন্ডে। মুম্বইয়ে কিডনির অস্ত্রোপচারের জন্য সময়ে পৌঁছনোর কথা ছিল এক মহিলার। কিন্তু কোনও কারণে বিমানবন্দরে পৌঁছতে দেরি হয়ে যায় তাঁদের। ফলে সময়ে বিমানে উঠতে পারেননি। সমস্যার কথা জানতে পেরে ওই মহিলা ও তাঁর স্বামীকে সাহায্য় করতে এগিয়ে যান মহাজন। শিন্ডের বিমানেই তুলে নেওয়া হয় দু'জনকে। মুম্বই বিমানবন্দরে আগে থেকে অ্যাম্বুল্যান্স তৈরি রাখা হয়েছিল। সেই মতো হাসপাতালে পৌঁছন ওই মহিলা। পাটিল জানিয়েছেন, নিজের লড়াইয়ের দিনগুলি ভোলেননি শিন্ডে। সাধারণ মানুষের প্রতি আজও সমব্যথী তিনি।