লখনউ : এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের দিকে পাল্লা ভারী। অবশ্য সামগ্রিক ফলের জন্য এখনও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হবে। তবে, তার আগে থেকেই শুভেচ্ছা-বার্তা আসতে শুরু করেছে তৃণমূলের কাছে। বিজেপির ঘৃণার রাজনীতিকে পরাস্ত করার জন্য তৃণমূল নেতৃত্বকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন সমাজবাদী পার্টির সুপ্রিমো অখিলেশ যাদব।


টুইটারে তিনি লিখেছেন, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির ঘৃণার রাজনীতিকে হারানোর জন্য মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়, তৃণমূলের নেতা ও কার্যকর্তাদের হার্দিক অভিনন্দন। এক মহিলাকে বিজেপির 'দিদি ও দিদি' বলে অপমান করার জোরাল জবাব দিয়েছেন জনতা।


ইতিমধ্যেই তৃণমূল ২০৭টি আসনে এগিয়ে গিয়েছে। বিজেপি এগিয়ে ৮১ আসনে। বেশ কয়েকটি আসনে তৃণমূল প্রার্থীদের জয়ের খবর আসতে শুরু করেছে। জামুড়িয়ায় জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী হরেরাম সিংহ। ৭ হাজার ৭৬৯ ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রে জয়ী বিদেশ বসু । বিজেপি প্রার্থীকে হারালেন ১৭ হাজার ২১২ ভোটে। হাওড়ার শিবপুরে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী মনোজ তিওয়ারি। এর পাশাপাশি বহু আসনে লিড করছে শাসকশিবির। বিভিন্ন জায়গায় উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। সবুজ আবিরে ছেয়ে গিয়েছে বিভিন্ন পার্টি অফিস।


এই পরিস্থিতিতে জাতীয় স্তর থেকে তৃণমূলের বন্ধু দলগুলি শুভেচ্ছা-বার্তা পাঠাতে শুরু করেছে। সকালেই ফলাফলের ট্রেন্ড দেখে শিবসেনার মুখপাত্র ও সাংসদ সঞ্জয় রাউত আশাপ্রকাশ করেন, পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলই সরকার বানাবে। পাশাপাশি তৃণমূল সুপ্রিমোর লড়াকু মানসিকতার প্রশংসা করে বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করার যে সাহস, সেটা মানতেই হবে। উনি দুটি আসনে লড়েননি। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে নন্দীগ্রামে একটি আসনেই লড়েছেন।