নয়াদিল্লি: শুধুমাত্র ধনকুবের পরিচয়ে আর আটকে নেই ইলন মাস্ক। আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারের অন্যতম প্রভাবশালী মুখ তিনি। কিন্তু এতকিছুর মধ্যেও বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না ইলনের। বরং তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে গিয়েছেন এক তরুণী। শিশুসন্তানের পিতৃত্ব নিয়ে ইলনের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছেন তিনি।  আর তাতেই একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। (Elon Musk)


সোশ্য়াল মিডিয়ায় জনপ্রিয় মুখ অ্যাশলি সেন্ট ক্লেয়ার। মাস্কের বিরুদ্ধে তিনিই আদালতে গিয়েছেন। অ্যাশলি জানিয়েছেন, পাঁচমাস বয়সি পুত্রসন্তানকে একার দায়িত্বে মানুষ করবেন তিনি। সন্তানের জীবনে ইলনের কোনও ভূমিকা চান না। কিন্তু ইলনই যে তাঁর সন্তানের পিতা, তাতে সিলমোহর দিতে হবে আদালতকে।  অ্যাশলির পুত্রসন্তানের পিতৃত্ব এখনও স্বীকার করেননি ইলন। কিন্তু তাঁদের কথোপকথন থেকে শিশুটির সঙ্গে ইলনের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। (Ashley St Clair)


ম্যানহ্যাটন সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছেন অ্যাশলি। ইলনই যে তাঁর সন্তানের বাবা, তার জন্য DNA পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন।  অ্যাশলি জানিয়েছেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে সেন্ট বার্থসে বেড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই ইলনের সঙ্গে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা হয় তাঁর, সন্তানধারণ করেন।


আদালতে অ্যাশলি জানিেছেন, সন্তানের জন্মের সময় ইলন তাঁর সঙ্গে ছিলেন না। সবমিলিয়ে তিন বার শিশুসন্তানের সঙ্গে দেখা করেছেন তিনি, দু’বার ম্যানহ্যাটনে, একবার টেক্সাসে। শিশুর জন্মের খবর পেলেও সন্তানের ছবি পর্যন্ত দেখতে চাননি ইলন। তবে সন্তান কোলে নিয়ে বসে থাকা ইলনের একটি ছবিও আদালতে জমা দিয়েছেন অ্যাশলি। মেসেজে তাঁদের যে কথা হয়, তাও সামনে এসেছে। যদিও ওই কথোপকথনের সত্যতা যাচাই করেনি এবিপি আনন্দ।


জানা গিয়েছে, সন্তান জন্মানোর পর হাসপাতাল থেকেই ইলনকে নিজের এবং সদ্যোজাতর ছবি পাঠান অ্যাশলি। তাতে মেসেজে কথা হয় তাঁদের। ছবি দেখে প্রথমে ‘Love’ ইমোজি দিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান ইলন। এর পর কথোপকথন এগোয় আরও-


ইলন: সব ঠিক আছে?


অ্যাশলি: ও (শিশুসন্তান) একদম ঠিক আছেয। 


ইলন: সপ্তাহান্তে তোমাদের সঙ্গে দেখা হবে। মুখিয়ে আছি…ঘুম পাচ্ছে। ভাল ভাবে সেরে ওঠো তুমি।


আরও একটি কথোপকথনে সামনে এসেছে, যেখানে প্রথমে নিজের একটি ছবি ইলনকে পাটান অ্যাশলি। এর পর আবার কথোপকথন চলে-


ইলন: তোমার গর্ভে ফের সন্তান চাই। 


এতে অ্যাশলি জানান, তাঁদের মধ্য়ে কথাবার্তা ঠিকঠাক হচ্ছে না। জবাবে ইলন লেখেন, ‘হুমম…আমাকে সন্তানের বাহিনী গড়ে তুলতে হবে’।




অ্যাশলি জানিয়েছেন, শিশুপুত্রের জন্মের শংসাপত্রে বাবার নামের জায়গাটি খালি রেখেছেন তিনি। নিরাপত্তার কারণেই ইলনের মাস্ক লেখা থেকে বিরত থেকেছেন। এখনও পর্যন্ত ১৩তম সন্তানের পিতৃত্ব স্বীকার করেননি ইলন। তবে আমেরিকার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ট্রাম্পের প্রচার কর্মসূচির সঙ্গে ইলন যেমন যুক্ত ছিলেন, তেমনই অ্যাশলিও সেই প্রচারের অংশ ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় পরস্পরের পোস্টে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যও করতে দেখা যায় তাঁদের। কিন্তু অ্যাশলির সঙ্গে সম্পর্ক, সন্তানধারণ নিয়ে এখনও নীরব মাস্ক।