ওয়াশিংটন ডিসি : সবে ভোটে জিতে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করার পথে ডোনাল্ড ট্রাম্প। একরাশ আশা রয়েছে অনেকের মধ্যেই। কিন্তু, আমেরিকায় কোনও ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন না বলে দেশ ছাড়তে চান এলন মাস্কের রূপান্তরকামী কন্যা ভিভিয়ান উইলসন। ২০২২ সালেই মাস্কের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
গত বুধবার Meta-র Threads প্ল্যাটফর্মে নিজের মতামত শেয়ার করেন ভিভিয়ান। তিনি লেখেন, "আমি কিছুদিন ধরেই এটা ভাবছিলাম, কিন্তু গতকাল আমি নিশ্চিত হয়ে গিয়েছি। আমেরিকার আর আমার কোনো ভবিষ্যৎ আছে বলে মনে হচ্ছে না।"
ডোনাল্ড ট্রাম্প জিততেই তিনি লিখলেন, যদিও উনি অফিসে মাত্র ৪ বছর আছেন, যদি রূপান্তরকামী-বিরোধী আইন না ঘটে, যাঁরা স্বেচ্ছায় ভোট দিয়েছেন তাঁরা শীঘ্রই কোথাও যাচ্ছেন না।
ভিভিয়ান আমেরিকা ছাড়ার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করতেই ট্যুইটারে তার পাল্টা জবাব দেন মাস্ক। লেখেন, "The woke mind killed my son।"
এরপর বাবার পোস্টের একটি স্ক্রিনশট শেয়ার করে Threads-এ ভিভিয়ান লেখেন, "সুতরাং, আপনি এখনও কান্নাকাটির গল্প ফেঁদে যাচ্ছেন যে কীভাবে 'আমি, আমার সন্তান অন্য কিছু দ্বারা সংক্রামিত হয়েছি' এবং এটিই একমাত্র কারণ যে তারা আমাকে ঘৃণা করে। দয়া করে করবেন না... অনুগ্রহ করে করবেন না... দয়া করে তাকাবেন না, ঈশ্বর নিষেধ করুন... প্রতিটি ক্ষেত্রে আমি শিকার ছাড়া অন্য কিছু নই।" Thread-এর একই পোস্টে বাবা মাস্ককে উদ্দেশ্য করে ভিভিয়ান লিখেছেন, "আপনি হতাশ কারণ দিনের শেষে আপনার চারপাশে থাকা সবাই এটা জানেন যে আপনি বিভ্রান্তকর এবং অন্যকে নিজের খামখেয়ালিভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে চান। যিনি ৩৮ বছর ধরেও পরিণত হননি। যদিও শেষবার আমি বলেছিলাম, সেটা আমার সমস্যা নয়।"
মাস্কের প্রথম স্ত্রী জাস্টিন উইলসনের ছয় সন্তান। তাদের মধ্যেই একজন ভিভিয়ান উইলসন। ২০২২ সালে তিনি আইন-সম্মতভাবে নিজের নাম পাল্টে নেন। রূপান্তরকামী হয়ে ওঠেন। এজন্য তাঁকে মানসিক অবস্থা নিয়ে ক্রমাগত বিঁধে গিয়েছেন তাঁর ধনকুবের বাবা। এমনকী এও বলেছেন যে, তাঁর কাছে তিনি (ভিভিয়ান উইলসন) 'মৃত'। অন্যদিকে, ভিভিয়ানও তাঁর বাবাকে বিঁধতে ছাড়েন না। বাবাকে তিনি বর্ণনা করেন, "ঠান্ডা" ও "নিষ্ঠুর" প্রকৃতির বলে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে