নয়াদিল্লি: ধন-সম্পদে তাঁর ধারেকাছে নেই কেউ। ব্যবসা-বাণিজ্য়ের পাশাপাশি, মহাকাশ অভিযানেও হাতযশ হয়েছে বেশ। ধনকুবের ইলন মাস্ক এবার বড় ভবিষ্যদ্বাণীও করে দিলেন। তাঁর দাবি, আগামী পাঁচ থেকে ১০ বছরের মধ্যে বড় যুদ্ধ বাঁধবে পৃথিবীতে। নির্দিষ্ট করে নাম না নিলেও, তাঁর ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। (Elon Musk)

Continues below advertisement

রাশিয়া বনাম ইউক্রেন, ইজরায়েল বনাম হামাস-সহ গত কয়েক বছরে একের পর এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ, সংঘাত দেখেছে গোটা বিশ্ব। তাবড় শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে সংঘাত বেড়েই চলেছে লাগাতার। সেই আবহেই বড় বিপর্যয়ের ইঙ্গিত দিলেন মাস্ক? আর তাই প্রশ্ন উঠছে, এমনি এমনি নিশ্চয়ই একথা বলবেন না মাস্ক। তাহলে কি চোখের আড়ালে বড় কিছু ঘটছে? (Elon Musk War Prediction)

বিভিন্ন দেশের পারমাণবিক প্রতিরোধ সংক্রান্ত রীতি নীতি বদলে যাওয়া নিয়ে মাইক্রোব্লগিং সাইট X (সাবেক ট্যুইটার)-এ একটি আলোচনায় যোগ দেন মাস্ক। Hunter Ash নামের একটি হ্যান্ডল দাবি করে, বৃহদাকার যুদ্ধ প্রতিরোধ করে পরমাণু অস্ত্র। সেই কারণে আধুনিক সরকারগুলি আত্মতুষ্টিতে ভোগে। বহিরাগত চাপ আর আগের মতো অনুভূত হয় না। এর প্রত্যুত্তরেই মাস্ক লেখেন, ‘যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী, ৫ বছর, বড় জোর ১০ বছর’।

Continues below advertisement

মাস্কের এই ভবিষ্যদ্বাণী নিয়ে চর্চা শুরু হলেও, সেই নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা পেশ করেননি মাস্ক। ফলে তাঁরই AI চ্যাটবট Grok-এর কাছে ব্যাখ্যা চাইতে শুরু করেন অনেকে। তাতে মাস্কের পুরনো মন্তব্যগুলি স্মরণ করিয়ে দেয় Grok, যেখানে ইউরোপ তথা ব্রিটেনের শরণার্থী সঙ্কট, তাইওয়ান নিয়ে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে টানাপোড়েন, এমনকি ইউক্রেন থেকে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূচনা ঘটতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি।

আমেরিকায় ডোনাল্ড ট্রাম্প সরকারে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন মাস্ক। আমেরিকার সরকারের সবকিছু মোটামুটি তাঁর নখদর্পণে বলেই মনে করছেন X ব্যবহারকারীরা। তাই মাস্কের ভবিষ্যদ্বাণীকে লঘু করে দেখেত নারাজ তাঁরা। তাবড় রাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধলে, সেই যুদ্ধ পরমাণু যুদ্ধের আকার নেবে কি না, সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ।

যুদ্ধ অবশ্যম্ভাবী কেন বলছেন মাস্ক, সেই নিয়ে এই মুহূর্তে সরগরম নেটদুনিয়া। আমেরিকা এবং চিনের মধ্যে সংঘাত বিরাট আকার ধারণ করতে পারে কি না, সেই নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। মাস্ক কেন ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখছেন, কেন বিশদ তথ্য প্রকাশ করছেন না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।