আঙ্কারা: তুরস্কে প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর সত্যি বলে জানার পরই নড়েচড়ে বসেছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়াপ এরডোগান। প্রতিবেশী ইরানে লাফিয়ে লাফিয়ে মারণ-ভাইরাসে মৃত্যুর সংখ্যা। চিন, ইতালির পর ইরানেই সবচেয়ে বেশি লোক মরেছে। এই প্রেক্ষাপটে এরডোগান প্রকাশ্যে অতিথি-অভ্যাগতদের সঙ্গে হাত মেলানো বন্ধ করেছেন। এবার তাঁকে মারণ ভাইরাসের হাত থেকে পুরোপুরি সুরক্ষিত রাখতে জ্বর হওয়া লোকজনকে তাঁর থেকে দূরে রাখতে থার্মাল ক্যামেরার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। বুধবার তিনি যখন পার্লামেন্টে আসেন, তখন আশপাশে জ্বরে আক্রান্ত কেউ আছেন কিনা, জানতে নজরদারি চালানো হয় থার্মাল ক্যামেরা দিয়ে। এ ধরনের ক্যামেরার শরীরের তাপমাত্রা বুঝতে পারে, জ্বর থাকলে ধরে ফেলে। এর ব্যবহার চলবে বলে জানিয়েছে তুরস্কের মিডিয়া।
গত মঙ্গলবার তুরস্কের প্রথম করোনাভাইরাস সংক্রমণের খবর নিশ্চিত করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ফাহরেতিন কোসা জানান, সংশ্লিষ্ট রোগী ইউরোপে মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, বাকি সদস্যদেরও সংক্রমণ হতে পারে, এহেন আশঙ্কায় তাঁর পরিবারের ওপরও নজর রাখা হচ্ছে।
তুরস্ক সরকার করোনাভাইরাসের ছড়ানো রুখতে একাধিক পদক্ষেপ করছে। যেমন, সব স্বাস্থ্যকর্মীর ছুটি বাতিল করা হয়েছে। এপ্রিলের মাঝামাঝি পর্যন্ত বিদেশ থেকে পর্যটকদের আসা কমানো হবে। দেশে করোনাভাইরাস থেকে বিরাট বিপর্যয় ঘটে গেলে ঘরোয়া বাজারে যাতে মাস্ক বা মুখোশ ও ওষুধপত্র, চিকিত্সা সরঞ্জামের ঘাটতি না হয়, সেজন্য তার রপ্তানি বন্ধ করা হবে।
৮ কোটির বেশি মানুষের দেশ তুরস্কে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি উদ্বাস্তুরও ভিড়। প্রায় ৫০ লক্ষ শরণার্থী, মূলত সিরিয়া থেকে গৃহযুদ্ধ এড়াতে পালিয়ে চলে আসা ঠাঁই নিয়েছে সেদেশে।
ইতিমধ্যেই ইতালি, দক্ষিণ কোরিয়া ও ইরাকে যাত্রীবিমান যাওয়া নিষিদ্ধ করেছে তুরস্ক। বিদেশ থেকে আসা লোকজনকেও বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।