জ্যোতিরাদিত্যের দলত্যাগ মধ্যপ্রদেশে কমলনাথের কংগ্রেস সরকারের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলেছে, তাঁর অনুগামী ২২ দলীয় মন্ত্রী, বিধায়ক কমলনাথের প্রতি অনাস্থা জানিয়ে পদত্যাগ করায়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করে তিনি গতকাল আনু্ষ্ঠানিক ভাবে বিজেপি সদর দপ্তরে দলের সভাপতি জেপি নড্ডার সামনে বিজেপিতে যোগ দিয়ে কংগ্রেস নেতৃত্বকে আক্রমণ করেন। তাঁকে বিজেপি পরিবারে সামিল করায় ধন্যবাদ দেন মোদি, শাহকে। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে পাঠানো যে ইস্তফাপত্র তিনি ট্যুইট করেছেন, তাতে গত ২বছর ধরে তাঁর কংগ্রেসে অস্বস্তিকর অবস্থায় পড়ার ইঙ্গিত আছে। তিনি লিখেছেন,আপনি নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, গত ২ বছর ধরে এই পথটাই আমার সামনে পরিষ্কার হয়ে আসছিল। তাঁর শিবিরের অভিযোগ, ২০১৮-য় মধ্যপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি সামনে থেকে কংগ্রেসকে নেতৃত্ব দিয়ে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্য়ুত করলেও পরবর্তী সরকারের মাথায় বসানো হয় কমলনাথকে।
এদিকে শীর্ষ কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ জ্যোতিরাদিত্যকে কটাক্ষ করেছেন, বিজেপিতে যোগদানের সিদ্ধান্তের জন্য হার্দিক শুভেচ্ছা, অভিনন্দন। তবে ভগবান ওঁকে বিজেপিতে নিরাপদে রাখুন। গতকাল মধ্যরাতে ট্যুইট করে জ্যোতিরাদিত্য নিজের বিজেপিতে যোগদানকে টার্নিং পয়েন্টও বলেন। লেখেন, এটা শুধু আমার জীবনের নতুন বাঁকই নয়, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির অনুপ্রেরণাদায়ী নেতৃত্বে জনসেবা করে যাওয়ার দায়বদ্ধতা বহাল রাখার একটা সুযোগও।
জ্যোতিরাদিত্য ভোপালে পা রাখার প্রাক্কালে তাঁকে শহরে স্বাগত জানাতে লাগানো পোস্টারে কালি লাগানোর ঘটনা সামনে এসেছে। পোস্টারে বিজেপির অন্য নেতাদের পাশে জ্যোতিরাদিত্যের মুখের ছবি ছিল। বাকিদের বাদ দিয়ে শুধু তাঁর ছবিতেই কালি লাগায় দুষ্কৃতীরা। বিজেপি সূত্রে খবর, দলীয় দপ্তরে তাঁকে সাদরে বরণ করে নেওয়ার জন্য বিরাট আয়োজন করা হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্য় দপ্তরে তিনি বিজয়রাজে সিন্ধিয়া, দীনদয়াল উপাধ্যায়, কুশাভাউ ঠাকরে ও মাধবরাও সিন্ধিয়ার ছবিতে মালা পরাবেন তিনি। ঠিক আছে যে, ১৩ মার্চ দুপুরেও তিনি বিজেপি দপ্তরে আসবেন। সেখান থেকে বিধানসভায় যাবেন রাজ্যসভা নির্বাচনের মনোনয়ন জমা দিতে।