কলকাতা: ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ নেওয়ার পরেও রাজ্যে চিকিৎসকের মৃত্যু। করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হল সিউড়ি সদর হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অতনুশঙ্কর দাসের। কলকাতার বাসিন্দা পঞ্চাশোর্ধ্ব চিকিৎসক দীর্ঘদিন সিউড়িতে কর্মরত ছিলেন।
পরিবার সূত্রে খবর, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরও দিনকুড়ি আগে তিনি করোনা আক্রান্ত ওই চিকিৎসক। ভর্তি ছিলেন বোলপুরের কোভিড হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় ওই চিকিৎসককে। গতকাল রাতে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। চিকিৎসক সংগঠনের দাবি, দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার পরেও এ রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের বেশি চিকিৎসকের। করোনা-বিধি মানায় শিথিলতা দেখানোর কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে চিকিৎসকদের মত।
ভ্যাকসিনের ২টি ডোজ নিয়েও রাজ্যে মৃত্যু চিকিৎসকের। দ্বিতীয় ঢেউয়ে আগের চেয়ে অনেক ভয়ঙ্কর করোনা। শুধু শহরাঞ্চল নয়, সুনামির মতো গ্রামেও আছড়ে পড়েছে সংক্রমণের স্রোত। পল্লি এলাকায় মহামারীর বাড়বাড়ন্তে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। গ্রামাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ রুখতে গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়ানোর কাজে বাড়তি গুরুত্ব দিয়েছে রাজ্য প্রশাসন। আর এই আবহে একের পর চিকিৎসকের মৃত্যু। যা নিয়ে রীতিমতো চিন্তিত প্রশাসন।
এর আগে গত ২১ মে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এক চিকিত্সকের মৃত্যু হল। ইইডিএফ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে চিকিত্সক সুধীন ভট্টাচার্যের। তার আগে করোনা প্রাণ কাড়ে রাজ্যের আরও এক চিকিৎসকের। বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে মৃত্যু হয় আইএমএ-র বাঁকুড়া শাখার সম্পাদক অশোককুমার চট্টোপাধ্যায়ের। ষাটোর্দ্ধ এই চিকিৎসক ভ্যাকসিনের দুটি ডোজই নিয়েছিলেন বলে সূত্রের খবর।
রবিবার স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন বলছে, ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১৫৬ জনের। আর তাতেই রাজ্যে সবমিলিয়ে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪,৩৬৪ জন। পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমিত হয়েছেন ১৮,৪২২ জন। আশার আলো শনিবারের তুলনায় বেশ খানিকটা কমেছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। কোভিড মুক্ত হয়েছেন ১৯,৪২৯ জন। রাজ্যে সুস্থতার হার ৮৮.৫৭ শতাংশ।