নয়া দিল্লি : প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন কয়েক মাস আগে মন্তব্য করেছিলেন, ভারতে করোনা ভাইরাস 'শেষের পথে'। ৭ মার্চের সেই মন্তব্যের পরই দেশজুড়ে বিতর্কের ঝড় উঠেছিল। দেশে সেই সময় করোনা গ্রাফ ছিল অনেকটাই কম। বিশেষজ্ঞরা যেখানে পর পর কোভিড ঢেউয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে, সেখানে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীর করোনা শেষের মন্তব্যে বিতর্ক বেড়েছিল। মঙ্গলবার রাজ্যসভায় সে প্রসঙ্গ উঠতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ভারতী পারভিন পাওয়ার জানান যে, প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য দেশবাসীকে উৎসাহিত করার জন্য ছিল।
এক লিখিত জবাবে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, "করোনাকালে দীর্ঘদিন ধরে যে সকল সামনের সারির যোদ্ধা লড়াই করে চলেছিলেন তাঁদের উৎসাহ দিতেই এ কথা বলেছিলেন মন্ত্রী। পাশাপাশি তিনি এও বলেছিলেন সবাই যাতে কোভিড প্রোটোকল মেনে চলেন এবং ভ্যাকসিন নেন।"
সম্প্রতি মোদীর মন্ত্রিসভায় রদবদলের পর মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ পড়েছেন হর্ষ বর্ধন। তাঁর জায়গায় এসেছেন মনসুখ মাণ্ডব্য। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর কথায়, যেসময় প্রাক্তন স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই মন্তব্য করেছিলেন সেই সমইয় দেশে কোভিড -১৯-এর প্রাদুর্ভাব কম ছিল। কেবল কেরল এবং মহারাষ্ট্রেই অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা অনেকটা বেশি ছিল।
দেশের ৪০০ টিরও বেশি জেলায় ১০ শতাংশেরও কম ক্ষেত্রে সংক্রমণ ছিল। ২৫টিরও বেশি রাজ্যে পাঁচ শতাংশেরও কম হয়ে গিয়েছিল সংক্রমণ। যা ইঙ্গিত দিয়েছিল সংক্রমণ হ্রাসের। সেই সময়েই স্বাস্থ্যমন্ত্রী এই বক্তব্য রেখেছিলেন।
এদিকে, ভারতে করোনায় একদিনে ভয়ঙ্করভাবে বাড়ল মৃত্যুর সংখ্যা। পরিসংখ্য়ান বলছে, গত ২৪-ঘণ্টায় মৃত্যু বেড়েছে এক ধাক্কায় ১০ গুণের বেশি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ৯৯৮ জনের। মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৩৭৪।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৪২ হাজার ১৫ জন। মঙ্গলবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই সংখ্যাটি ছিল ৩০ হাজার ৯৩। অর্থাৎ ফের বৃদ্ধি পেয়েছে সংক্রমণ।