কলকাতা: ‘লড়ে যান, জয় আপনাদের হবেই। দলকে আরও সুনাম অর্জন করতে হবে, উন্নততর তৃণমূল তৈরি করুন। জেলায় নতুন-পুরনো কর্মী, মা-বোনেদের গুরুত্ব দিন। কোভিড মিটলে শীতকালে ব্রিগেডে বড় র‍্যালি। তখন শরদ পওয়ারদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।’ তৃণমূল কংগ্রেসের ২১ জুলাইয়ের অনুষ্ঠানে বললেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।


এদিনের অনুষ্ঠানের শুরুতে তৃণমূল নেত্রী বলেন, ‘২১ জুলাই শহিদ স্মরণে আমাদের অনুষ্ঠান। জাতীয়-রাজ্য স্তরের নেতাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। দিল্লির অনুষ্ঠানে উপস্থিতির জন্য শরদ পাওয়ারকে ধন্যবাদ। চিদম্বরম, দিগ্বিজয়জিকে এই অনুষ্ঠানে আসার জন্য ধন্যবাদ। আমাদের বন্ধু জয়া বচ্চন আসায় ধন্যবাদ জানাই। এসেছেন ডিএমকে, অকালি দলের প্রতিনিধিও। তাঁদেরও কৃতজ্ঞতা জানাই। মানুষই আমাদের আশীর্বাদ দিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এনেছেন। মানুষ মানি পাওয়ার, মাসল পাওয়ারের বিরুদ্ধে লড়েছেন। মা-মাটি-মানুষকে আমার কৃতজ্ঞতা জানাই। বাংলা আমাদের ভোট দিয়েছে, সারা দেশ আমাদের আশীর্বাদ দিয়েছে। পিকে-কে ধন্যবাদ, অভিষেক ও তাঁর আইটি-সেলকে ধন্যবাদ।’


বিজেপি-কে আক্রমণ করে মমতা বলেন, ‘ত্রিপুরায় আমাদের অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হয়নি। এটাই কি গণতন্ত্র? সব গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হচ্ছে। ২০২৪-এ কী হবে জানি না, তবে আগেভাগে পরিকল্পনা করতে হবে। ওরা নৃশংস, শান্তিতে কাউকে বাঁচতে দেবে না। আমি চিদম্বরমকে ফোন করতে পারি না, ফোনে আড়ি পাতা হয়। আমাকে ফোনের ক্যামেরায় প্লাস্টার লাগাতে হচ্ছে। রান্নার গ্যাসের দাম ৪৭ বার বেড়েছে। প্রায় পৌনে চার লক্ষ কোটি টাকা খোয়া গিয়েছে গৃহস্থর। বিজেপি সরকার গণতান্ত্রিক অধিকার শেষ করে দিচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় অধিকার, বিচারব্যবস্থাকে শেষ করছে। গোটা দেশে গোয়েন্দাগিরি চলছে। নিজেদের স্বার্থ ভুলে আমাদের সবাইকে এককাট্টা হতে হবে। কোভিডে কেউ মারা গেলে উত্তরপ্রদেশে নদীতে দেহ ভাসিয়ে দেওয়া হয়। তার উপর প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসা করেন! ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রিত হলে, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আসত না। সব নেতাদের বলছি, ফ্রন্ট তৈরি করুন। পরের সপ্তাহে দু’তিনদিনের জন্য দিল্লি যাব। গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করব। শরদ পাওয়ারদের অনুরোধ, দিল্লিতে বৈঠকের আয়োজন করুন। সেই বৈঠকে আমিও থাকব, আলোচনা হোক।’