নয়া দিল্লি: কাশ্মীরে নিরীহ পর্যটকদের গুলি করে মেরেছে জঙ্গিরা। পহেলগাঁওকাণ্ডে বিশ্বজুড়ে উঠেছে নিন্দার ঝড়। স্বজনহারাদের পরিজনদের কান্নার মধ্যেই দেশজুড়ে জোরাল হচ্ছে বদলার দাবি। এর মধ্যেই পাকিস্তানের প্রাক্তন মন্ত্রী চৌধুরী ফাওয়াদ হুসেন বলেছেন যে ভারত যদি পাকিস্তানকে আক্রমণ করে বা ফের হুমকি দেয় তাহলে নিজেদের দেশ কীভাবে রক্ষা করতে হয়, তা তাঁরা জানে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের একজন সিনিয়র নেতা হুসেইন সোশাল মিডিয়ায় জানিয়েছে যে, ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি), পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), জমিয়ত উলেমা-ই-ইসলাম (জেইউআই) সহ সমস্ত প্রধান দল তাদের রাজনৈতিক ভিন্ন মতাদর্শ নিয়ে থাকলেও ঐক্যবদ্ধ থাকবে ।
পহেলগাঁওয়ের ভয়াবহ জঙ্গি হামলায় পাকিস্তানের যোগ ইতিমধ্যেই সামনে এসেছে। সেই ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, "পাকিস্তান রাজনৈতিকভাবে বিভক্ত, কিন্তু আমরা একটি জাতি হিসেবে ঐক্যবদ্ধ। যদি ভারত আমাদের উপর আক্রমণ করে বা হুমকি দেয়, তাহলে সমস্ত গোষ্ঠী - পিএমএল-এন, পিপিপি, পিটিআই, জেইউআই এবং অন্যান্যরা - আমাদের মাতৃভূমি রক্ষার জন্য পাকিস্তানের পতাকার নীচে একত্রিত হবে"।
শুধু তাই নয়, তিনি এও বলেছেন, মোদি সরকারের কাছ থেকে সংযম প্রত্যাশা করেছেন। এক্স মিডিয়ায় তিনি লিখেছেন, 'ভারতীয় মন্ত্রিসভা তার নিরাপত্তা সভা শেষ করেছে। আশা করি মাথা ঠান্ডা রাখবেন তাঁরা। কর্তৃপক্ষ মিডিয়া-প্ররোচিত যুদ্ধের উগ্রবাদের কাছে নতি স্বীকার করে লক্ষ লক্ষ জীবনের ঝুঁকি নেবে না সেটাই আশা করছি।'
এরই মাঝে প্রশ্ন পহেলগাঁওয়ে হামলার নেপথ্যে পাক জঙ্গি সংগঠনকে সাহায্য করে থাকতে পারে হামাস? কারণ সূত্রের খবর, গত ফেব্রুয়ারি মাসে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবা এবং জইশ-ই-মহম্মদ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওয়ালকোটে হামাসের শীর্ষ নেতাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। হামাসের কোমর ভেঙে দিয়েছে ইজরায়েল। ভারত কি পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠনগুলিকে নির্মূল করতে সক্ষম হবে?