নয়াদিল্লি: লাদাখে সীমান্ত সংঘাতকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে সীমান্ত এলাকায় শান্তি ও স্থিতাবস্থার ‘দ্রুত প্রত্যাবর্তন’ সুনিশ্চিত করতে চিনকে ফের আবেদন করল ভারত। দুটি দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তিগুলিকেও সম্মান করতে বেজিংকে আহ্বান জানিয়েছে নয়াদিল্লি। বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অনুরাগ শ্রীবাস্তবকে উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা এএনআই বলেছে, আমাদের প্রত্যাশা, চিনা তরফ আন্তরিকতার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি, বোঝাপড়া ও প্রোটোকল অনুসারে সীমান্ত এলাকায় দ্রুত শান্তি ও সুস্থিতি ফেরানোর লক্ষ্যে চেষ্টা চালিয়ে যাবে। নয়াদিল্লির তরফে জানানো হয়েছে, দুদেশের সেনাবাহিনীর সিনিয়র কম্যান্ডাদের সর্বশেষ আলোচনায় প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় (এলএসি) উত্তেজনা হ্রাসে উভয় পক্ষের দায়বদ্ধতা ফুটে উঠেছে।
গত ১৫ ও ১৬ জুনের মধ্যরাতে চিনা ও ভারতীয় সেনা জওয়ানদের সংঘর্ষে এক কর্নেল সহ ২০ জন ভারতীয় জওয়ান প্রাণ হারান। চিন সরকারি ভাবে না জানালেও নানা অসমর্থিত সূত্রে প্রকাশ, তাদেরও একাধিক জওয়ান হতাহত হয়েছে।
সীমান্ত ঘিরে দুদেশের মধ্যে সামরিক স্তরে উত্তেজনা হ্রাসের লক্ষ্যে লাগাতার প্রয়াসের অঙ্গ হিসাবে মঙ্গলবার চিন ও ভারতের পদস্থ কম্যান্ডাররা দীর্ঘ বৈঠকে বসেন। সীমান্তে উত্তাপের আঁচ পড়েছে দুটি প্রতিবেশী দেশের সম্পর্কে। যদিও আলোচনার পাশাপাশি বিতর্কিত এলএসি-তে তত্পরতা, সমরসজ্জাও সমান তালে চালিয়ে যাচ্ছে দুদেশ।
পাশাপাশি করাচি স্টক এক্সচেঞ্জে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসবাদী হামলার পিছনে পাকিস্তানের ভারতের দিকে আঙুল তোলারও বিরোধিতা করেন শ্রীবাস্তব। পাকিস্তানের অভিযোগ খারিজ করে তিনি বলেন, নিজের ঘরোয়া সমস্যার জন্য ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপাতে পারে না পাকিস্তান। করাচির জঙ্গি হামলার ব্যাপারে এধরনের অবাস্তব কথাবার্তাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ ভারত।