মন্ত্রক বলেছে, হলের মধ্যে কোনও খাবার বিলি করা যাবে না, শুধু প্যাক করা খাবারই দেওয়া যাবে। দর্শকদের অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে, থার্মাল স্ক্রিনিং অত্যাবশ্যক। শো টাইম আগের থেকে কম হবে, দর্শকদের নিজেদের ফোন নাম্বার দিতে হবে হল কর্মীদের, যাতে দরকারে পরে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়।
তবে কনটেনমেন্ট জোনে কোনও সিনেমা হল খোলা যাবে না।
এবার দেখে নিন সিনেমা হল খোলার কিছু নির্দেশিকা
- হলের বাইরে ওয়েটিং জোনে বা অন্যত্র অন্তত ৬ ফুটের শারীরিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে।
- মুখে মাস্ক থাকতেই হবে।
- হলে ঢোকা ও বাইরে যাওয়ার মুখে হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
- টিকিট কাটা, টিকিট খতিয়ে দেখা ও পয়সা দেওয়া এবং ফেরতের জন্য গোটা ব্যবস্থা ডিজিটাল করা জরুরি, যাতে কেউ কারও সংস্পর্শে না আসেন। খাবার, পানীয়র জন্যও অনলাইন বুকিং, ই-ওয়ালেট, কিউআর কোড স্ক্যানার ইত্যাদি ব্যবহার প্রয়োজন।
- টিকিট বুকিংয়ের সময়েই নিয়ে নিতে হবে দর্শকের ফোন নাম্বার।
- শ্বাসপ্রশ্বাস সংক্রান্ত নয়া নিয়মকানুন কঠোরভাবে পালন করতে হবে। অর্থাৎ হাঁচি কাশির সময় মুখ ও নাক ঢাকা থাকতেই হবে। এ জন্য টিস্যু, রুমাল বা কনুই দিয়ে ঠিকমত মুখ ঢাকতে হবে।
- প্রত্যেকে নিজের নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখবেন, কোনওরকম অসুস্থতার লক্ষণ দেখলে রাজ্য ও জেলা হেল্পলাইনে ফোন করুন।
- থুতু ফেলা একেবারে চলবে না।
- প্রত্যেকের ফোনে আরোগ্য সেতু অ্যাপ থাকা জরুরি।
- সিঙ্গল স্ক্রিনে দুবার ছবি দেখানোর ফাঁকে যথেষ্ট সময়ের ব্যবধান রাখতে হবে।
- এমনভাবে হলের ভেতর বসার বন্দোবস্ত করতে হবে যাতে দর্শকদের মধ্যে যথেষ্ট ব্যবধান থাকে।
- যে আসনগুলি ফাঁকা থাকবে, সেগুলি টিকিট বিক্রির সময়েই চিহ্নিত করে দিতে হবে।
- কর্মীদের জন্যও রাখতে হবে যথেষ্ট সংখ্যক মাস্ক, গ্লাভস, বুট, পিপিই কিট ইত্যাদির ব্যবস্থা।
- করোনা সংক্রান্ত নানা সাবধানতামূলক ঘোষণা ছবি শুরুর আগে, ইন্টারভ্যালে এবং ছবির শেষে চালাতে হবে।
- এসির তাপমাত্রা থাকতে হবে ২৪ থেকে ৩০ ডিগ্রি।
এগুলি সবই কেন্দ্রীয় নির্দেশিকা। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক বলেছে, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি তাদের প্রয়োজনমত আরও কিছু নির্দেশিকা এতে যোগ করতে পারে।