নয়াদিল্লি : সিবিআই, শুল্ক দফতর, মাদক অপরাধ দমন ও আয়কর দফতরের অধিকারিকের 'ভুয়ো' পরিচয় দিয়ে বহুজাতিক এক সংস্থার এক অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র এক্সিকিউটিভের সঙ্গে জালিয়াতি। প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকা তাঁকে দিতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। সমস্ত ঘটনাটাই ঘটে Skype-এ। ঘটনায় অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপটনমে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেখানেই ঘটনাটি ঘটে। এর পাশাপাশি অভিযোগ জানানো হয়েছে দিল্লিতেও। 


চেক মারফত ওই টাকা হাতিয়ে নেয় সংশ্লিষ্ট গ্যাংটি। 'রানা গারমেন্টস' নামে একটি সংস্থাকে ওই টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে। যাদের দিল্লির উত্তম নগরে HDFC অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বিশাখাপটনম পুলিশের কাছে যে FIR দায়ের হয়েছে সেই অনুযায়ী, 'রানা গারমেন্টসের' নামে থাকা HDFC-র অ্যাকাউন্ট থেকে ওই টাকা সংশ্লিষ্ট গ্যাংটি  দেশের ১০৫টি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করেছে। বহুজাতিক সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত ওই আধিকারিক সংবাদ সংস্থা NDTV-কে জানিয়েছেন, জালিয়াতির বিষয়ে HDFC ব্যাঙ্কের উত্তম নগর শাখা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে।


৫৭ বছরের অবসরপ্রাপ্ত ওই কর্মী জার্মানিতে সদর দফতর থাকা একটি ওষুধ সংস্থার অ্যাসোসিয়েট জেনারেল ম্যানেজার হিসাবে কাজ করেছেন। তিনি ভারতে অপারেশনের কাজে যুক্ত ছিলেন। সর্বস্বান্ত্ব হওয়া ওই আধিকারিক বলেন, "চাকরি জীবনের আমার আর তিন বছর পড়েছিল। কিন্তু, স্বেচ্ছা অবসর নিই। কারণ, আমার ছেলেকে বিদেশের কলেজে পাঠানোর প্রস্তুতি নিতে সময়ের প্রয়োজন ছিল। ২ মে অবসর-সংক্রান্ত সমস্ত সেটেলমেন্টে আমার হয়ে যায়। ১৭ মে ছিল আমার ছেলের ভিসার অ্যাপয়েন্টমেন্ট। কিন্তু, তার আগে ১৪ মে-তেই ওই গ্যাং আমার সঙ্গে জালিয়াতি করে। ৮৫ লক্ষ টাকা প্রতারিত করা হয় আমার সঙ্গে। তাঁরা বলেছিলেন আমার রেকর্ড খতিয়ে দেখার পর টাকা ফেরত পাঠিয়ে দেবেন।"  


এই পরিস্থিতিতে ঘটনার তদন্তভার শুরু করেছে বিশাখাপটনম অপরাধ দমন শাখা। উপকূলীয় এই শহরের পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার তদন্ত চলছে। কিছু লিড পাওয়া গেছে। 


সংবাদ সংস্থা NDTV-কে অবসরপ্রাপ্ত ওই অফিসার জানান, "আমার উপর প্রচুর চাপ ছিল। ওরা আমায় হুমকি দিচ্ছিল। আমাকে জেলে পাঠানোর কথা বলা হচ্ছিল। জাল DCP তাঁর জাল বসের সঙ্গে কথা বলার পর বলেন আমাকে দেখে নিরীহ মনে হচ্ছে। তাই, তাঁরা ৮৫ লক্ষ টাকা তদন্তের জন্য নেবেন এবং পুলিশ কিছু না পেলে আমাকে ফেরত দেবেন। Skype-এ আমার সাক্ষাৎকার দু'দিন ধরে চলতে থাকে। ওরা আমাকে বাড়ি থেকে বেরোতে দেননি বা কাউকে ফোন কলও করতে দেননি।"