কলকাতা : "রাজ্য সরকারের কাছে কত ভ্যাকসিন এসেছে কেন্দ্র থেকে, কত ভ্যাকসিন দেওয়া হয়েছে, কত নষ্ট হয়েছে এবং কত পড়ে রয়েছে তার একটি শ্বেতপত্র প্রকাশ হওয়া দরকার। তাহলে এই দুর্নীতি বেশি করে ধরা পড়বে।" কসবাকাণ্ড নিয়ে সুর চড়ালেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, "কোথায় পৌঁছেছে আমাদের স্বাস্থ্য বিভাগ এবং দুর্নীতি তা এই ঘটনা থেকেই বোঝা যাচ্ছে। একজন এমপিও এই ভুয়ো টিকা নিয়ে এলেন। এবার জিতে যাওয়ার পর লুঠ শুরু হয়ে গিয়েছে। একজন এমপি এবং দলের পদাধিকারীরা কী করে এই ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প চলতে দিলেন ?
সাংসদ মিমির অভিযোগ দায়ের। তার পর থেকেই ধীরে ধীরে জাল গোটাতে শুরু করে কসবাকাণ্ডের। সরকারি নথি জাল করে ভুয়ো আইএএস পরিচয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প চলছিল বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার কসবার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভের আয়োজন করা হয়। সচেতনতা প্রচারে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল মিমি চক্রবর্তীকেও। সেই ক্যাম্পে গিয়েই নিজের ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেন মিমি। কিন্তু ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে কোনও সার্টিফিকেট না আসায় সন্দেহ হয় তাঁর।
খোঁজ নিয়ে সাংসদ জানতে পারেন, ওই ক্যাম্পে ভ্যাকসিন নেওয়া কারোরই সার্টিফিকেট আসেনি। এরপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মিমি। পুলিশ তদন্ত করতে গিয়ে জানতে পারে, দেবাঞ্জন দেব নামে ওই ব্যক্তি ভুয়ো আইএএস অফিসার ও জয়েন্ট কমিশনার অফ কলকাতা কর্পোরেশনের পরিচয় দিয়ে ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভের আয়োজন করেছিলেন। এর পরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কী করে এরকম একটা ক্যাম্পের আয়োজন সম্ভব হল ? পুরসভার ভূমিকা নিয়ে চর্চা শুরু হয়। এই পরিস্থিতিতে আজ অতীন ঘোষ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, পুরসভা অনুমতি দেওয়ার মালিক নন। যদি কেউ বলে থাকেন পুরসভা মালিক, তিনি আইনটা খুলে দেখিয়ে দিন। ভ্যাকসিনেশন পলিসির কোন জায়গায় বলা আছে যে কেউ যদি ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প করেন তাকে কলকাতা পুরসভার অনুমতি নিতে হবে।