কলকাতা: ১ লক্ষ টাকার বিনিময়ে কসবা ভ্যাকসিনেশন কেন্দ্রে টিকাকরণ! কলকাতা পুরসভার নাম করে সংস্থার কাছ থেকে টাকা আদায় করেছিল দেবাঞ্জন। সূত্রের খবর, পুরসভার ফি-র নাম করে মাইক্রো ফিনান্স সংস্থার থেকে টাকা আদায় করা হয়েছিল! ওই মাইক্রো ফিনান্স সংস্থার কর্মীদের টিকাকরণের জন্য ১ লক্ষ ১১ হাজার টাকা দেওয়ার দাবি করেছে সংস্থা। ইতিমধ্যেই ভুয়ো ভ্যাকসিনেশনের এই অভিযোগে তালতলা থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। 


শুধু তাই নয়, ভ্যাকসিনে প্রতারণাকাণ্ডে দেবাঞ্জনকে জেরা করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছে পুলিশ। আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজে ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প চালিয়েছেন প্রতারণাকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন। মাস্ক-স্যানিটাইজার বিলির নামে কলেজে এসে দেবাঞ্জন জিজ্ঞাসা করেছিল, কলেজে ভ্যাকসিনেশন হয়েছে কি না? তারপর সুযোগ বুঝে ভুয়ো ভ্যাকসিন ক্যাম্পের আয়োজন করে সে। ক্যাম্প থেকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন কলেজের অন্যান্য অধ্যাপকরাও। 


বৃহস্পতিবার ভ্যাকসিন প্রতারণাকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে নিয়েই কসবায় তাঁর অফিসে হানা পুলিশের, সঙ্গে ছিল ফরেন্সিক দল। সেখান থেকে উদ্ধার হয় বেশ কিছু ভায়াল, নথি এবং গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম। তবে উদ্ধার হওয়া ভায়ালে করোনার ভ্যাকসিন নেই। দেবাঞ্জনের অফিস থেকে পাওয়া ভায়াল পরীক্ষা করে ফরেন্সিকের অনুমান, কোভিশিল্ডের আড়ালে অ্যামকাসিন-৫০০ ইঞ্জেকশন! অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করা হয় এই অ্যামকাসিন-৫০০। তাহলে ভ্যাকসিনের আড়ালে দেওয়া হয়েছিল অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল ওষুধ? কোভিশিল্ডের স্টিকার লাগানো ভায়ালে আড়ালে আরেক স্টিকার রয়েছে!


ভুয়ো ভ্যাকসিনই শুধু নয়, নথি জাল করে পুরসভার নামে ওয়ার্ক অর্ডার বের করার অভিযোগও উঠেছে দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে। নিউ আলিপুরের এক তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার কর্ণধার চাঞ্চল্যকর এই অভিযোগ এনেছেন। সোনারপুরের স্পোর্টস অ্যাকাডেমি গড়ার নামেও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে দেবাঞ্জনের বিরুদ্ধে। 


তদন্ত যতই এগোচ্ছে, ততই ভুয়ো IAS দেবাঞ্জন দেবের বিরুদ্ধে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। এবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যুগ্মসচিব পরিচয় দিয়েও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে ।