মুম্বই: টাকা থাকলেই ইচ্ছেমতো রাখা যায় না ৪-৫টা গাড়ি। নিজের জন্য পর্যাপ্ত পার্কিং স্পেস থাকলে তবেই একাধিক গাড়ি রাখতে পারেন ফ্ল্যাটের মালিক। সম্প্রতি একটি জনস্বার্থ মামলার প্রেক্ষিতে এমনই মন্তব্য করেছে বম্বে হাইকোর্ট।


আবাসনে নিজের পর্যাপ্ত পার্কিং স্পেস না থাকলে রাখা যায় না একাধিক গাড়ি। একটি পিআইএল প্রসঙ্গে এমনই মত প্রকাশ করেছে বম্বে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। এ বিষয়ে বেঞ্চের প্রধান বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত ও বিচারপতি জিএস কুলকর্নি মহারাষ্ট্রের পার্কিং স্পেসের নির্দিষ্ট নীতি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। সম্প্রতি ফ্ল্যাটের মালিক ও পার্কিং স্পেস নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন নবি মুম্বইয়ের সমাজকর্মী সন্দীপ ঠাকুর।


মূলত, সরকারি একটি বিজ্ঞপ্তিকে চ্যালেঞ্জ করেই এই মামলা করেন সন্দীপ। যেখানে প্রোমোটারদের আবাসন প্রকল্পে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য জায়গা কমানোয় ছাড়পত্র দিয়েছে সরকার। এ বিষয়ে হাইকোর্টে সন্দীপ বলেন, ''আবাসন বা কলোনিতে এখন ফ্ল্যাটের মালিককে পর্যাপ্ত পার্কিংয়ের জায়গা দিচ্ছে না ডেভেলপাররা। বাধ্য হয়ে আবাসন বা সোসাইটির বাইরে গাড়ি রাখতে হচ্ছে মালিকপক্ষকে।''


যার উত্তরে বম্বে হাইকোর্ট বলে, ''নতুন গাড়ি কেনার ওপর রাশ টানতে হবে।কেনার ক্ষমতা থাকলেই আপনি কোনও একটি পরিবারকে ৪-৫টি গাড়ি রাখার অনুমতি দিতে পারেন না। আগে আপনাকে জানতে হবে, তাদের গাড়ি রাখার পর্যাপ্ত জায়গা আছে কিনা ? এই নিয়ে সঠিক নীতি বাস্তবায়নের প্রয়োজন আছে। ''


এই বলেই অবশ্য থেমে থাকেনি বম্বে হাইকার্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পার্কিংয়ের কারণে রাস্তায় অহেতুক ভিড়ের কথাও উল্লেখ করে আদালত। হাইকোর্টের মতে, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় রাস্তার দু-ধারে গাড়ি থাকায় চলাচলের অসুবিধা হচ্ছে।  রাস্তার পার্কিংয়ের ফলে রোডের  ৩০ শতাংশ এমনিতেই ব্লক হয়ে যায়। জনস্বার্থে অবিলম্বে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা উচিত। এ বিষয়ে একটি নির্দিষ্ট নীতি নেওয়া উচিত সরকারের। এ বিষয়ে রাজ্যে সরকারের প্রতিনিধি মনীশ পেবলকে বিষয়টি দেখতে বলেছে হাইকোর্ট। আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই জনস্বার্থ মামলার বিষয়ে জবাব দিতে হবে সরকারকে।