দক্ষিণ ২৪ পরগনা: বিজেপি করায় মারধর, গুলি চালানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুর থানা এলাকার রাঘবপুরের ঘটনা। জখম ৭।
হামলার শিকার হওয়া হাজরা পরিবারের অভিযোগ, শনিবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ বাড়ির দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে পড়ে একদল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। ভাঙচুরের পাশাপাশি মারধরও করা হয় পরিবারের সদস্যদের। প্রতিবাদ করলে তখনকার মতো চলে গেলেও অভিযোগ, রাত বারোটা নাগাদ ফের বাড়িতে চড়াও হয় ওই দুষ্কৃতীদল। এবার ছররা গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা।
এই ঘটনায় পরিবারের সাতজন আহত হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে তন্ময় হাজরা নামে বছর পঁচিশের এক যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে এসএসকেএমে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি ৩ জন এম আর বাঙুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরিবারের এক সদস্য শুভময় হাজরা বলেন, রাতে এসে হামলা চালায়। তাণ্ডব চালায়। ফের রাতে এসে গুলি চালায়। বাড়ির সকলেই আহত। বিজেপিকে সমর্থন করে বলে হামলা।

বিজেপির অভিযোগ, তাদেরকে সমর্থন করায় হামলা চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপির দক্ষিণ ২৪ পরগনা (পশ্চিমভাগ) সহ সভাপতি সুফল ঘাঁটু ওই পরিবার বিজেপি করে বলেই বারবার হামলা হচ্ছে। আহতরা কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি।
যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যের শাসকদল। পানাকুয়া গ্রাম পঞ্চায়েত তৃণমূল প্রধান ভোলানাথ সর্দারের দাবি, অভিযোগ ভিত্তিহীন। পারিবারিক বিবাদ। ওরা সিপিএম করত বলে জানি, কবে বিজেপি হল জানি না।
ছররা গুলি চলার কথা স্বীকার করেছে পুলিশ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মলয় হাজরা নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁকে জেরা করে খোঁজ চলছে বাকিদের।