হায়দরাবাদ: লাদাখের গালওয়ানে চিনা হামলায় নিহত কর্নেল বিকুমাল্লা সন্তোষ বাবুর মৃতদেহ ফিরল বাড়িতে। তেলঙ্গানার সূর্যপেটের বাড়িতে ১৬ নম্বর বিহার রেজিমেন্টের কমান্ডিং অফিসার সন্তোষ বাবুকে গার্ড অফ অনার দেওয়া হয়। এদিনই তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে।


এদিন অ্যাম্বুল্যান্সে তেরঙা মোড়ানো কফিনবন্দি হয়ে বাড়ি ফেরেন নিহত কর্নেল। সেই সময় তাঁর বাড়ির চারদিকে থিকথিক করছে মানুষ। সকলের হাতে জাতীয় পতাকা ও মুখে "সন্তোষবাবু অমর রহে" স্লোগান।



গতকাল রাতে দিল্লি থেকে বিশেষ বিমানে করে হায়দরাবাদের কাছে হাকিমপেটে বায়ুসেনা ঘাঁটিতে পৌঁছয় সন্তোষবাবুর দেহ। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান তেলঙ্গানার রাজ্যপাল তামিলিসাই সৌন্দরারাজন এবং রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী কেটি রামা রাও। রাজ্যপাল জানান, দেশের জন্য সন্তোষবাবুর চূড়ান্ত বলিদান মনে রাখবে দেশবাসী।


এদিন সকালে, দেহ পৌঁছয় সূর্যপেটে সন্তোষবাবুর পারিবারিক ভিটেয়। সেখানে সকালে শেষ শ্রদ্ধা জানান সেনা থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। পরে, সামরিক সম্মান দিয়ে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।





একইসঙ্গে বিহারের পটনার বাড়িতে গতকাল ফেরে হাবিলদার সুনীল কুমারের মৃতদেহ। এদিন শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় নিহত জওয়ানের। সেখানেও, পূর্ণ সামরিক মর্যাদায় বীর শহিদকে শেষ বিদায় জানানো হয়।


সোমবারের সংঘর্ষে নিহত জওয়ানদের তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের ২ জওয়ানও। আজই বীরভূমের মহম্মদবাজারের বাড়িতে ফিরছে চিনা হামলায় নিহত জওয়ান রাজেশ ওরাংয়ের মৃতদেহ। অপেক্ষায় পরিবার সহ গোটা গ্রাম। প্রস্তুত পুলিশ-প্রশাসন। বেলগড়িয়ার আদিবাসী গ্রামে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখানেই সমাধিস্থ করা হবে রাজেশকে। নিহত জওয়ানের বাড়িতে যান কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়।