নয়াদিল্লি: ওঁরা কন্যাসন্তানকে লেখাপড়া শেখানোর কথা বলেন, কিন্তু মহিলাদের নিরাপত্তা কোথায়? ঝাঁঝালো প্রশ্ন নিহত নিকি যাদবের (Niki Yadav) কাকা সুরেশ যাদবের। হালেই নিকির ভয়ঙ্কর পরিণতিতে শিউরে উঠেছে গোটা দেশ। অভিযোগ, তরুণীর প্রেমিক ও লিভ-ইন পার্টনার (Live In Partner) সাহিল গহলৌত (Sahil Gehlot) তাঁকে মেরে ফ্রিজে (Fridge) ঢুকিয়ে রেখেছিলেন। নিকির পরিবারের অবশ্য দাবি, পুলিশ লিভ-ইন সম্পর্কের মিথ্যা গুজব ছড়াতে চাইছে। উল্টে, নারী-নিরাপত্তায় নানা ফাঁকফোঁকর নিয়ে প্রশ্ন তুলছে নিহতের পরিবার।


কী বলছেন নিহতের পরিজন?
গোটা দেশ যখন ভ্যালেন্টাইন'স ডে উদযাপনে ব্যস্ত, সেই দিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার উদ্ধার হয়েছিল নিকির দেহ। পুলিশের ধারণা, তারও কয়েক দিন আগে, সম্ভবত গত শনিবার ২৩ বছরের তরুণীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছিলেন সাহিল। তার পর তাঁর পরিবারেরই এক রেস্তোরাঁর ফ্রিজে ঢুকিয়ে রেখেছিলেন দেহটা। প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের ধারণা, বচসার মাঝেই এই কাণ্ড ঘটায় সাহিল। অন্য এক মহিলার সঙ্গে তাঁর বিয়ে নিয়ে নিকির সঙ্গে বচসা বেঁধেছিল যুবকের, এমনই উঠে এসেছে প্রাথমিক তদন্তে। কিন্তু নিহতের পরিবারের দাবি, যুবকের সঙ্গে মেয়ের লিভ-ইন সম্পর্কের ব্যাপারে কিছুই তাঁরা জানতেন না। তরুণীর বাবা সুনীল যাদবের কথায়, 'আমাদের পুরো পরিবারের কেউ কিছু টের পায়নি। গোটাটাই গুজব ছড়ানো হচ্ছে। গত আট মাস ধরে ছোট বোনের সঙ্গে একই ঘরে থাকত নিকি।' নিহতের ছোট বোন দিল্লিতে কমার্স নিয়ে স্নাতকোত্তর পড়ছেন। তিনিও দিদির এই লিভ-ইন সম্পর্কের বিষয়ে কিছু জানতেন না। এমনকি যে মায়ের সঙ্গে প্রতি সন্ধ্যায় কথা বলতেন তরুণী, সেই মা-ও কিছুই ঘুণাক্ষরে আঁচ করতে পারেননি। সব মিলিয়ে এখনও তাই মেয়ের এই পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না কেউ। অধ্যাপক হতে চাইতেন তরুণী। সেই নিকিরই এই পরিণতি? অভিযুক্তের মৃত্য়ুদণ্ড চান শোকতপ্ত বাবা। 


পুলিশের দাবি...
তদন্তকারীদের দাবি, টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়েছিলেন সাহিল। শেষমেশ সবটা কবুল করে ফ্রিজ পর্যন্ত নিয়ে যান তিনি। সেখান থেকেই নিকির দেহ মেলে। যে গাড়িতে তাঁকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ, সেটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। আপাতত পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে রয়েছে সাহিল। প্রসঙ্গত রাজধানীর বুকে কয়েক মাস আগেই শ্রদ্ধা ওয়াকার হত্যাকাণ্ডের খবর মেরুদণ্ড দিয়ে ঠাণ্ডা স্রোত বইয়ে দিয়েছিল। সেখানেও নৃশংস খুনের অভিযোগ ওঠে নিহতের লিভ ইন পার্টনার আফতাব আমিন পুনাওয়ালার বিরুদ্ধে। 


আরও পড়ুন:টাকা দিয়ে বিধায়ক কেনাবেচা! রাজনীতিতে দলবদল নিয়ে উঠছে প্রশ্ন