বল্লভগড় (হরিয়ানা): কলেজে পরীক্ষা দিতে গিয়ে চরম মূল্য দিল হরিয়ানার ছাত্রী। তাকে প্রকাশ্যে গুলি করে মারল এক ব্যক্তি! মেয়েটির বাবা বলেছেন, আমরা আগেও মেয়েকে এই লোকগুলো উত্যক্ত করছিল বলে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করি। এবার ওকে মেরেই ফেলল ওরা।
দিল্লি থেকে মাত্র ৩০ কিমি দূরে ফরিদাবাদের ঘটনাটির ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, ২১ বছরের মেয়েটিকে তার কলেজের বাইরে প্রথমে একটি লোক জোর করে তার গাড়িতে তোলার চেষ্টা করছে। মেয়েটি প্রাণপণে তাকে বাধা দিচ্ছে। ধস্তাধস্তির মধ্যে আচমকা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে তাকে গুলি করে লোকটি। ফরিদাবাদের বল্লভগড়ের কলেজেই পড়ত নিকিতা নামে মেয়েটি। পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল সোমবার। ফাইনাল বর্ষের বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রী ছিল সে।
একটি সূত্রের দাবি, মেয়েটির পরিবার বলেছে, গোটা বিষয়টি লাভ জিহাদ। মেয়েকে ধর্ম বদলে তাকে বিয়ে করতে বাধ্য করেছিল অভিযুক্ত। বিষয়টি আপসে পরে মিটমাট করে নেওয়া হয়েছিল।
তৌসিফ নামে অভিযুক্ত হামলাকারী ও তার বন্ধু রেহান সম্ভবত মেয়েটির জন্য আগে থেকে একটি গাড়িতে অপেক্ষা করছিল। সিসিটিভি ফুটেজে মেয়েটি, তার বন্ধুদের গাড়ির কাছেই বন্দুকধারী হামলাকারীকে এড়িয়ে যেতে দেখা যায়। হামলাকারী পিছু ধাওয়া করতে করতে শেষ পর্যন্ত মেয়েটিকে গুলিই করে। হামলাকারীর বন্ধুকে তাকে টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুলে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকে মেয়েটি। পরে হাসপাতালে সে মারা যায়। তৌসিফকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিকিতার বাবা বলেছেন, ২০১৮ সালেই পুলিশকে বলেছিলাম, তৌসিফ আমার মেয়েকে হেনস্থা করছিল। মেয়ের সম্মান বাঁচাতে অভিযোগ তুলে নিই। এবার মেয়েটাকে ওরা মেরেই ফেলল! মেয়ে কলেজে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিল। ও জোর করে মেয়েকে গাড়িতে তুলতে চাইছিল। মেয়ে বাধা দিলে ধস্তাধস্তির পর ও গুলি করে। পুলিশ অফিসার জয়বীর রথি জানিয়েছেন, তৌসিফকে চিনত নিকিতা। ছেলেটি মেয়েটির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করেছিল, তারপর গুলি করে তাকে।
এদিকে জাতীয় মহিলা কমিশন ভাইরাল ভিডিওটি দেখে বাকি অভিযুক্ত গ্রেফতার করতে চিঠি দিয়েছে হরিয়ানা পুলিশের প্রধানকে।