দিল্লি বিস্ফোরণকাণ্ডের আগে দেশের দিকে দিকে সন্ত্রাসবাদের নেটওয়ার্ক থেকে এক-একটি করে মাথা উপড়ে দিয়েছেন গোয়েন্দারা। উত্তরপ্রদেশের ফরিদাবাদ থেকে বিপুল পরিমাণে বিস্ফোরক , অস্ত্র জোগাড় করা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় একাধিক ডাক্তারকে, যাদের শিকড় কাশ্মীরে। আবার গুজরাত থেকে এক ভয়ানক ষড়যন্ত্রে  যুক্ত থাকার অভিযোগে এটিএস গ্রেফতার করে এক ডাক্তারকে, যে ভয়ানক বিষ তৈরি করে জৈবসন্ত্রাস চালানোর পরিকল্পনা করছিল।  ডক্টর-ব্রিগেডের নাম জড়িয়েছে আগেই। সন্ত্রাসের কারবারে এবার নাম উঠে এল কাশ্মীরের এক মৌলবীরও। সেই এই নেটওয়ার্কের মোটিভেটর বলেই মনে করা হচ্ছে। হরিয়ানার ফরিদাবাদ মডিউল সংক্রান্ত ঘটনায় জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ যে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ইমাম ইরফান আহমেদ। তিনি জম্মু-কাশ্মীরের সোপিয়ানের বাসিন্দা।

Continues below advertisement

কী করত এই কাশ্মীরি মৌলবী ? 

ইরফান আহমেদ আগে শ্রীনগরের সরকারি মেডিকেল কলেজে প্যারামেডিক্যাল স্টাফ সদস্য হিসেবে নিযুক্ত ছিল। সেখানে থাকাকালীন, সে প্রায়শই নওগামের একটি মসজিদে ছাত্র এবং উপাসকদের সাথে যোগাযোগ করত। এরপর সে তরুণ মেডিকেল ছাত্রদের উগ্রপন্থায় উদ্বুদ্ধ করত। মগজ ধোলাই করে  তাদের  চরমপন্থী কাজে টেনে আনত। এনডিটিভি-র এক প্রতিবেদনে দাবি, এই মৌলবী আহমেদ পাকিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ (জেইএম) থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে এগোচ্ছিল।

Continues below advertisement

এই আহমেদ ছাত্রদের জইশ-ই-মহম্মদের প্রচার-ভিডিওগুলো দেখাত। ধীরে ধীরে তাদের নিজের ভাবনায় মাথা মুড়িয়ে দিত। তদন্তকারীদের ধারণা, ভিডিও কল তকে আফগানিস্তানের হ্যান্ডলারদের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল তার।   পুলিশ সূত্রে খবর, ইমাম ইরফাম আহমেদকে শ্রীনগর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে, হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে আটক হওয়া মৌলবী হাফিজ মহম্মদ ইশতিয়াককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।  

মেন্টর আহমেদের পছন্দের ছাত্র ছিল কাশ্মীরের দুজন চিকিৎসক, ডাঃ মুজাম্মিল শাকিল এবং ডাঃ মোহাম্মদ উমর। তাদের একেবারে মগজ ধোলাই করে ফেলেছিল সে। উভয় ডাক্তারই মৌলবীর দেখানো লক্ষ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছিল। গোয়েন্দা আধিকারিকদের মতে, আহমেদের লক্ষ্য ছিল শিক্ষিত তরুণদের মধ্যে, বিশেষ করে চিকিৎসা ক্ষেত্রের মধ্যে যারা পরবর্তীতে সমাজের অগোচরে কাজ করতে পারে, তাদের মধ্যে চরমপন্থী চিন্তাভাবনা গভীরভাবে রোপণ করা। যে ডাক্তার প্রাণ বাঁচান, তাদের দিয়েই প্রাণঘাতী হামলার ষড়যন্ত্র! কারণ, ডাক্তারদের চট করে কেউ সন্দেহ করে না, এমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা ।