নয়াদিল্লি: রুট পরিবর্তনের অভিযোগে এবার দুই কৃষক নেতাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করল কৃষক সংগঠন সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। কৃষকদের যৌথ সংগঠনের অন্যতম সংযুক্ত কিষাণ মোর্চা। আজ রবিবার আজাদ কিষাণ কমিটির সভাপতি হরপাল সংঘ এবং ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের সুরজিত সিংহ ফুলকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।


হরপাল সঙ্ঘ নিজেই আজ ট্যুইটারে এই খবর জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ২৬ জানুয়ারি ট্রাক্টর র‍্যালির আয়োজন করে কৃষক সংগঠন। এই র‍্যালি নিয়ে একাধিকবার দিল্লি পুলিশের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেন কৃষক নেতারা। ঠিক হয়, ৬ থেকে ৭ হাজার ট্রাক্টর নিয়ে সিঙ্ঘু সীমানা থেকে যাত্রা শুরু করেন কৃষকরা। সিঙ্ঘু সীমানা সহ গাজিপুর, টিকরি সীমানায় প্রস্তুতি নেয় তারা। হাজার হাজার কৃষক প্রজাতন্ত্র দিবসের রলিতে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। অভিযোগ র‍্যালি রুট পরিবর্তন করে কৃষকরা। অভিযোগ অনুমতি ছাড়াই লালকেল্লার ভেতর ঢুকে পড়ে তাঁরা।

এই অভিযোগের পরই কৃষকরা ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করে। উদ্দেশ্য দেশজুড়ে যে অভিযোগ ছড়িয়ে পড়েছে তা খতিয়ে দেখা। জানা গিয়েছে ওই কমিটি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট দুই নেতাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই কৃষক নেতারা সিঙ্ঘু সীমানা থেকে র‍্যালিতে অংশ নিয়েছিলেন। র‍্যালির রুট তাঁরা পরিবর্তন করেছেন এই অভিযোগে বরখাস্ত করল সংশ্লিষ্ট সংগঠন। তবে টিকরি সীমানায় কৃষকরা তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ স্বীকার করেনি। তাঁদের দাবি, ব্যারিকেড ভাঙা বা পুলিশের উপর আক্রমণ তাঁরা করেননি।

উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর মাসে সংসদে পাশ হয় ৩ কৃষি আইন। লালকেল্লা কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮৪ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। কৃষক আন্দোলন সহ ৩ কৃষি আইনের ভবিষ্যত কী? তার উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। ইতিমধ্যে কেন্দ্রের সঙ্গে ১১ দফায় বৈঠক হয়েছে কৃষকদের। তাতে মেলেনি কোনও সমাধান সূত্র। নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চেয়েছেন কৃষক নেতারা। এই আবহে কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত জানিয়েছেন, কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলতে প্রস্তুত সরকার। কিন্তু তার আগে যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মুক্তি দিতে হবে দাবি কৃষক নেতার।