ওয়াশিংটন: কৃষি আইনকে স্বাগত জানিয়েও কৃষক আন্দোলনকে গণতন্ত্রের অনন্য নজির বলে উল্লেখ করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বলা যায়, শ্যাম ও কূল দুই রক্ষার চেষ্টায় মরিয়া মার্কিন প্রশাসন। আর এইভাবেই নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল তারা।

মার্কিন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র কৃষক আন্দোলনকে 'সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের পরিচয়' হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, সমৃদ্ধ গণতন্ত্রের পরিচয় দিচ্ছে কৃষকদের আন্দোলন। ভারতের সুপ্রিম কোর্টও একই কথা বলেছে। পাশাপাশি, বিদেশ মন্ত্রকের বক্তব্য, আইন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে যে মত পার্থক্য হয়েছে তা কথা বলে সমাধান করা উচিত। কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেও তারা কৃষি আইনকে স্বাগত জানিয়েছে। কৃষক আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন  পপস্টার রিহানা। ট্যুইটার হ্যান্ডেলে তিনি নয়া কৃষি আইনের প্রতিবাদকে সমর্থন করেছেন। পরিবেশকর্মী গ্রেটা থানবার্গও এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এই আবহে মার্কিন অবস্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

বুধবার কৃষি আইন নিয়ে বলতে গিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখপাত্র তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিদেশ মন্ত্রকের কথায়, দিল্লি সীমান্তে আন্দোলন করছেন কৃষকরা। তাদের আন্দোলন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে। ৩ কৃষি আইন নিয়ে বেশ কিছু মত পার্থক্য তৈরি হয়েছে। তা কথা বলে মেটাতে হবে। ভারতের বাজারকে উন্নত করতে এবং বেসরকারি খাতে আরও বিনিয়োগকে আকৃষ্ট করতে পারবে কেন্দ্রের নতুন এই আইন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছে।

উল্লেখ্য, গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে পাশ হয় কৃষি আইন। ২৬ নভেম্বর থেকে দিল্লির একাধিক সীমানায় অবস্থানে বসেছেন তাঁরা। দফায় দফায় কৃষকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে কেন্দ্রের মেলেনি সমাধান। হাজার হাজার কৃষক প্রজাতন্ত্র দিবসের র্যা লিতে পুলিশের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে বলে অভিযোগ। অভিযোগ র‌্যালির রুট পরিবর্তন করে কৃষকরা।

অভিযোগ, অনুমতি ছাড়াই লালকেল্লার ভেতর ঢুকে পড়েন তাঁরা। লালকেল্লা কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে ৮৪ জনকে গ্রেফতার করেছে দিল্লি পুলিশ। ট্রাক্টর র‌্যালির পর এবার দেশজুড়ে ৩ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধের ডাক দিল আন্দোলনকারী কৃষকদের সংগঠন। আগামী শনিবার এই অবরোধের ডাক দিয়েছেব তাঁরা। কৃষকদের ঠেকাতে দিল্লির সীমানায় সিঙ্ঘুতে কৃষকদের অবস্থানস্থল ঘিরে ব্যারিকেড তৈরি করেছে দিল্লি পুলিশ। রাস্তায় পোঁতা হয়েছে বড় বড় পেরেক।