অল ইন্ডিয়া ফেয়ার শপ ডিলার্স ফেডারেশেনর সহ সভাপতি প্রহ্লাদ মোদি। এদিন তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, প্রয়াগরাজ, সুলতানপুর সহ অন্য জেলায় তাঁর যাওয়ার কথা ছিল। তাই তিনি লখনউতে এসেছেন। কিন্তু বিমানবন্দর থেকে তাঁর সতীর্থদের বেরোতে দেওয়া হচ্ছে না বলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রহ্লাদ। চৌধুরি চরণ সিংহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এদিন লখনউ পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। সতীর্থদের মুক্তি না দিলে অনশন বসবেন বলে হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
সংবাদসংস্থাকে তিনি বলেন, উত্তরপ্রদেশে এমন কোনও আইন আছে যার মাধ্যমে অন্য শহরের কাউকে ঢুকতে দেওয়া হয় না? এই নির্দেশিকার কোনও কপি আমাকে দেখাতে হবে। পুলিশ বলছে, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। তাও দেখতে চেয়েছি আমি। আমি নির্দেশিকার কপি না দেখলে এখান থেকে সরব না। অনশন বসারও সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
জানা গিয়েছে, এদিন বিকেল নাগাদ বিমানবন্দরে নামেন প্রধানমন্ত্রীর ভাই। প্রহ্লাদ সিংহের ধর্নার খবর শুনে সেখানে ছুটে যান বিমানবন্দরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান জেনারেল ম্যানেজার ভূপেন্দ্র সিংহ। তিনি জানান, তাঁর সতীর্থদের আটকে দেয় পুলিশ। সেই রাগে ধর্নায় বসেন প্রহ্লাদ। যদিও দেড় ঘণ্টা পর তিনি আন্দোলন প্রত্যাহার করেন বলে জানিয়েছেন জেনারেল ম্যানেজার ভূপেন্দ্র সিংহ। গোটা ঘটনায় অবশ্য লখনউ পুলিশের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।