নয়াদিল্লি: বাজেট ভাষণে গ্রাম, শহরের বিভাজন ঘোচানোর কথা বললেন পীযূষ গয়াল। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী লোকসভায় ২০১৯-২০র অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করে বলেন, আমরা গ্রামের আত্মা বজায় রেখেই সেখানে শহরের সুযোগসুবিধার বন্দোবস্ত করতে চাই। বর্তমান সরকার গ্রাম, শহরের ব্যবধান দূর করতে পদক্ষেপ করেছে বলে জানিয়ে তিনি এও বলেন, দেশের সম্পদের ওপর প্রথম অধিকার গরিবেরই। মোদি সরকারের সাফল্যের কথা বলেন, স্বচ্ছ ভারত অভিযানেরও উল্লেখ করেন গয়াল। বলেন, প্রায় ৫ লক্ষ ৪০ হাজার গ্রাম খোলা জায়গায় শৌচকর্মমুক্ত হয়েছে, ৯৮ শতাংশের বেশি গ্রামীণ বিদ্যুতায়ন হয়েছে সারা দেশে। ভাষণে কৃষক স্বার্থরক্ষার কথাও শুনিয়েছেন তিনি।


সম্প্রতি হয়ে যাওয়া কয়েকটি রাজ্যের, বিশেষ করে হিন্দি বলয়ে বিধানসভা নির্বাচনে ব্যালটবক্সে যেভাবে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে রোষের প্রতিফলন দেখা গিয়েছে, সেই প্রেক্ষাপটে গয়াল ঘোষণা করেন, কৃষক কল্যাণে একটি স্কিম চালু হবে, যার আওতায় তিনটি কিস্তিতে ২ হেক্টর পর্যন্ত জমির মালিক কৃষকরা বছরে পাবেন ৬০০০ টাকা। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি নামে স্কিমের টাকা পুরো দেবে সরকার। এতে ১২ কোটি ক্ষুদ্র, মাঝারি কৃষক স্বস্তি পাবে বলে দাবি গয়ালের। তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে এই অর্থ জমা পড়বে। তিনি জানান, এই পদক্ষেপ বাস্তবায়িত করতে বছরে সরকারি তহবিল থেকে ৭৫০০০ কোটি টাকা ব্যয় হবে। ভাষণে কৃষকরা যেসব জ্বলন্ত সমস্যার সামনে পড়ছেন, সেগুলির কয়েকটির উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি এমএনরেগা প্রকল্পে বরাদ্দ ২০১৯-২০তে বেড়ে ৬০ হাজার কোটি হচ্ছে বলেও জানান তিনি। গয়াল দাবি করেন, ২০১৩-১৪য় সস্তায় গরিব মানুষকে খাদ্যশস্য সরবরাহ করতে খরচ হয়েছিল ৯২০০০ কোটি টাকা, ২০১৮-১৯ এ তা বেড়ে ১.৭ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে।
এছাড়াও গয়ালের ঘোষণা, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত চাষি ২ শতাংশ ঋণ ভর্তুকি পাবেন, সময়মতো লোন পরিশোধ করলে আরও ৩ শতাংশ সুদ ছাড় মিলবে। পশুপালন, মাছ চাষে যুক্ত কৃষককেও ২ শতাংশ সুদ ছাড় দেবে সরকার। পশুপালন, মাছ চাষেও ৭৫০ কোটি টাকা সাহায্য দেবে কেন্দ্র।