শ্রীনগর: সংবিধানের ৩৭০ অনু্চ্ছেদ রদ করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও রাজ্যকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভেঙে টুকরো করার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাতে প্যামরকার্ড নিয়ে, কালো আর্মব্যান্ড বেঁধে মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীনগরে বিক্ষোভ কাশ্মীরি মহিলাদের। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার বোন সুরাইয়া, মেয়ে সাফিয়াও। পুলিশ ওই দুজন সহ একাধিক মহিলা কর্মীকে আটক করেছে। সুরাইয়া, সাফিয়ার নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখাতে রাস্তায় নামেন তাঁরা। সূত্রের খবর, বিক্ষোভকারীদের শান্তিপূর্ণ ভাবে চলে যেতে বলে পুলিশ। কিন্তু তাঁরা নির্দেশ মানতে রাজি না হওয়ায় মহিলা সিআরপিএফ জওয়ানরা তাঁদের ঘিরে ধরে পুলিশের গাড়িতে তুলে দেন। অভিযোগ, তাঁদের কর্মসূচি কভার করতে আসা সাংবাদিকদের হাতে প্রচারপত্র, বিবৃতিপত্র দিতে গেলেও মহিলাদের বাধা দেয় পুলিশ। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা কাশ্মীরের মহিলারা ভারত সরকারের ৩৭০ ও ৩৫ এ অনুচ্ছেদ বাতিল, জম্মু ও কাশ্মীরের মর্যাদা হ্রাস করে বিভাজনের একপেশে সিদ্ধান্ত খারিজ করছি। সেখানকার বাসিন্দাদের নাগরিক হিসাবে প্রাপ্য স্বাধীনতা ও মৌলিক অধিকার ফেরানোর দাবি করেন মহিলারা, জানান যে তাঁরা ‘মানুষ হিসাবে লাঞ্ছিত, প্রতারিত ও বঞ্চিত’ বোধ করছেন। গ্রাম ও শহরে ধৃত বন্দি লোকজনের অবিলম্বে মুক্তি ও সামরিক বাহিনী সরানোর দাবিও করেন তাঁরা। কাশ্মীরের বাস্তব অবস্থার সঠিক ছবি তুলে ধরা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করা হয় বিবৃতিতে।
এদিকে গতকাল কাশ্মীরে পোস্টপেড মোবাইল পরিষেবা আবার চালু হওয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ‘আগাম সাবধানতামূলক ব্যবস্থা’ হিসাবে এসএমএস চালাচালি বন্ধ করে দেওয়া হয়। টানা ৭২ দিন বন্ধ থাকার পর সোমবার দুপুরে গোটা কাশ্মীরে পোস্টপেড মোবাইল পরিষেবা ফের চালু হয়। যদিও ইন্টারনেট পরিষেবায় বিধিনিষেধ বহালই থাকে। তবে বিকাল ৫টা নাগাদ এসএমএস পরিষেবা ফের বন্ধ হয়ে যায়। ফলে প্রায় ৪০ লক্ষ গ্রাহক হতাশ হন, যাঁরা ভেবেছিলেন মোবাইল ফের সচল হওয়ায় এসএমএস পরিষেবা পুরোদমে চলবে। গতকাল রাতে কাশ্মীরের সোপিয়ানে রাজস্থানের এক ট্রাকচালককে গুলি করে হত্যা করে এক সন্দেহভাজন পাকিস্তানি নাগরিক সহ দুই সন্ত্রাসবাদী। এক বাগিচামালিকও তাদের হাতে নিগৃহীত হয়। উপত্যকা থেকে ফল সরবরাহ বাড়তে থাকায় হতাশায় মরিয়া হয়ে তারা শরিফ খানকে নামে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিকে হত্যা করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।