কলকাতা : বাবা । যে শব্দটা উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে - ত্যাগ, মূল্যবোধ, অক্লান্ত পরিশ্রম, নিজের কষ্ট চেপে রেখে সন্তানদের আগলে রাখা-একাধিক মহত্ত্বর বিষয় চোখের সামনে ভেসে ওঠে। একজন সন্তানের জন্ম থেকে তাঁর বেড়ে ওঠে- প্রতি পদে বিশাল বটবৃক্ষের মতো ছায়া দেন যে মানুষটি, আগলে রাখেন যিনি... তিনিই বাবা। সন্তানের যাবতীয় প্রয়োজন মেটানোই নয়, তাঁকে সমাজ-সংসারের উপযুক্ত করে গড়ে তোলার দায়িত্বও ঘাড়ে তুলে নেন বাবা। সন্তানের জীবনে বাবাদের এই অবদানকে সম্মান জানাতেই প্রতি বছর উদযাপিত হয়... Father’s Day।


জুন মাসের তৃতীয় রবিবার পালিত হয় পিতৃদিবস। সেই হিসাবে আজ২০ জুন পালিত হচ্ছে দিনটি। কিন্তু, এই দিনটি পালন করা শুরু হয় কবে থেকে, কী এর ইতিহাস জানেন কি ?


ফাদার্স ডে বা পিতৃদিবসের ইতিহাস :


সেন্ট জোশেফ'স ডে-তে ফাদার্স ডে পালন করা হয়। এর পিছনে রয়েছে ১৯৮২ সালের আরকানসাসের সেবাশ্চিয়ান কাউন্টির একটি ঘটনা। 


সোনোরা স্মার্ট ডড নামে এক কিশোরী ছিল। তার যখন ১৬ বছর বয়স, সেই সময় তার মা মারা যান। মাতৃহারা হয়ে পড়েন সোনোরা ও তার পাঁচ ভাই। তাদের বড় করে তোলেম বাবা উইলিয়াম স্মার্ট। যিনি ছিলেন গৃহযুদ্ধের সৈনিক। তার বাবার এই অবদানকে স্মরণীয় করে রাখতে দিনটিকে আলাদাভাবে পালন করা শুরু করে ডড। ৫ জুন বাবার জন্মদিনকে এজন্য বেছে নেয় সে। যদিও পরে সেই তারিখ পিছিয়ে হয় জুনের তৃতীয় রবিবার। এই দিনেই পালিত হয় পিতৃদবস।


তার পর থেকে বিশ্বের ১১১টি দেশে দিনটি পালিত হয়। যদিও অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের মতো কয়েকটি দেশে সেপ্টেম্বরের প্রথম রবিবার ফাদার্স ডে পালিত হয়। 


বাবা ও সন্তানদের দিন। নিজের রোল মডেলকে সম্মান জানানোর দিন। এই দিনটিতে সন্তানরা তাদের বাবাদের বিভিন্ন উপহারে ভরিয়ে দেয়। সেই উপহার অনেক কিছুই হতে পারে। তা সে- হাতঘড়ি হোক, ওয়ালেট, জ্যাকেট বা কোনও খাবার মেনু-বাবার পছন্দসই কোনও কিছু। ইতিমধ্যে দিনটিকে বিশেষ স্মরণীয় করে রাখার জন্য, বাবাকে আনন্দে ভরিয়ে দিতে আলাদা কী করা যায়- তা নিয়ে ইন্টারনেটে ঘাঁটাঘাটি শুরু হয়ে গেছে সন্তানদের। তবে, এই অতিমারি পরিস্থিতিতে কোনও আউটডোর পরিকল্পনা না করাই ভাল। এতে হিতে বিপরীত হয়ে যেতে পারে। তাই সাবধানে থাকুন, কোভিড-বিধি মেনে চলুন।