নয়াদিল্লি: আজ দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বা সিডিএসের নাম ঘোষণা হতে পারে। নবনিযুক্ত সিডিএসকে ৩১ ডিসেম্বর থেকে নিতে হবে কার্যভার। বর্তমান সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াত এই পদে নিযুক্ত হতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে। এ বছর স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সিডিএস নিয়োগের কথা ঘোষণা করেন।


এই পদের বয়সসীমা ৬৫ অর্থাৎ ৬৫ বছর বয়স পর্যন্ত সিডিএস থাকা যাবে। সিডিএস পজদের জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সেনা, নৌ সেনা ও বায়ু সেনার সার্ভিস রুলে এই পরিবর্তন এনেছে। সেনা প্রধান রাওয়াতের বয়স এখন ৬২ ছুঁই ছুঁই, সিডিএস নিযুক্ত হলে ৩ বছর এই পদে থাকতে পারবেন তিনি। সিডিএসকে ফোর স্টার তকমাধারী জেনারেল পদমর্যাদাভুক্ত হতে হবে। ডিপার্টমেন্ট অফ মিলিটারি অ্যাফেয়ার্স নামে একটি নতুন বিভাগ খুলতে চলেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক, সেখানে সচিব পদে নিযুক্ত হবেন তিনি, পাশাপাশি কেন্দ্রকে সেনা সংক্রান্ত নানা বিষয়ে পরামর্শ দেবেন। তবে কেন্দ্র পরিষ্কার করে দিয়েছে, সিডিএস সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনার কম্যান্ড এবং ইউনিটের নেতৃত্ব দেবেন না কিন্তু এই তিন বিভাগের কমন কম্যান্ড ও ডিভিশন তাঁর অধীনে থাকবে। এই মুহূর্তে আন্দামান নিকোবর কম্যান্ডই হল সেনা, বায়ুসেনা ও নৌসেনার কমন কম্যান্ড, তা সিডিএসের অন্তর্গত হবে। এছাড়া তিন সেনার স্পেশাল ফোর্সের অপারেশন ডিভিশন (আর্মড ফোর্সেস স্পেশাল অপারেশনস ডিভিশন) ও ডিফেন্স সাইবার এজেন্সি সহ স্পেস এজেন্সিও সিডিএস দেখাশোনা করবেন। এছাড়া সিডিএস তিন সেনা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত বিষয়গুলি সমাধানের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের মুখ্য সেনা উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করবেন।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এ বছর ১৫ অগাস্ট সিডিএস পদ তৈরির কথা ঘোষণা করেন। এরপর নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটি এই পদে সম্মতি দেয়। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানান এই সম্মতিদানের কথা। বলেন, সিডিএসে ফোর স্টার জেনারেলরাই বহাল হতে পারবেন, তাঁর পারিশ্রমিক বায়ু, জল ও স্থল সেনা প্রধানের পারিশ্রমিকের সমান হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার পর জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের নেতৃত্বে একটি কমিটি তৈরি করে কেন্দ্র, ৯০ দিনের মধ্যে তারা সিডিএসের ভূমিকা, চার্টার ও সরকারের প্রতি ওই পদাধিকারীর কর্তব্য সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট কেন্দ্রকে জমা দেয়।

তিন সেনা প্রধান আগের মতই প্রতিরক্ষামন্ত্রীর কাছে তাঁদের রিপোর্ট জমা দেবেন। সরকার জানিয়ে দিয়েছে, সিডিএস সেনা সংক্রান্ত বিষয়গুলি দেখবেন, দেশের রক্ষার দায়িত্ব আগের মতই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হাতে থাকবে।