নয়া দিল্লি: এ বছর দেশের সর্বত্রই বৃষ্টি হয়েছে ভয়ঙ্করভাবে। প্রবল বৃষ্টি এবং ভূমিধসে বিপর্যস্ত হিমাচল প্রদেশের জনজীবন। একটানা বৃষ্টি ও ভূমিধসের জেরে রাজ্যের একাধিক জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতি রাজ্যে রাজ্যে। মানালিতে প্রবল বর্ষণ, বন্যা পরিস্থিতি বিয়াসে।
চরম বৃষ্টির জেরে দোকানপাট ও ঘরবাড়ি ভেসে যায়। হাইওয়ে সব গিলে খেয়েছে নদী। বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে সড়ক ব্যবস্থা। কোথাও ভেঙে পড়েছে পাহাড়ের একাংশ। কোথাও দু'ভাগ হয়ে গিয়েছে পাহাড়। মঙ্গলবার মানালিতে বিয়াস নদীর তীব্র স্রোতে একটি বহুতল হোটেল এবং চারটি দোকান ভেসে গেছে।
জম্মুতে মঙ্গলবারেও জারি ভারী বৃষ্টিপাত। প্রবল বর্ষণে বিপদসীমায় বইছে সেখানকার নদীগুলি। ডোডা জেলা বিশেষভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টিপাতজনিত দুর্ঘটনায় ডোডায় এখন পর্যন্ত তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। বাড়ি ধসে দুজনের মৃত্যু হয়েছে এবং আকস্মিক বন্যায় একজনের মৃত্যু হয়েছে।
হিমাচল প্রদেশ রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী সূত্রে খবর, সে রাজ্যের প্রায় ৩৭৪টি রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এর পাশাপাশি, ৫২৪টি ট্রান্সফরমার এবং ১৪৫টি জল সরবরাহের পাইপলাইন অকেজো হয়ে পড়েছে। এ ছাড়াও, ভূমিধসের কারণে ৩০৫ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং ৫ নম্বর জাতীয় সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধার কাজ চালানো হচ্ছে। কিন্তু একটানা বৃষ্টি এবং নতুন করে ভূমিধসের জেরে উদ্ধার কাজ ব্যাহত হচ্ছে। গত ২০ জুন থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৭।
মানালি ছাড়াও হিমাচলের অন্যান্য এলাকা এবং পার্শ্ববর্তী হিমালয় পাদদেশীয় রাজ্যগুলি একই সমস্যায় ভুগছে। জম্মু-কাশ্মীরে কিস্তওয়ার-ধারালির মতো হড়পা বানে চারজনের মৃত্যু হয়েছে। কাটরায় ভূমিধসে বৈষ্ণোঁদেবী যাত্রা বন্ধ করে দিয়েছে প্রশাসন। আবহাওয়া দফতর কাংরা উপত্যকা, চাম্বা ও লাহুল-স্পিতি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করেছে। এছাড়াও উনা, হামিরপুর, বিলাসপুর, সোলান, মান্ডি, কুলু ও শিমলায় কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে।