নয়া দিল্লি: প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হিমাচল-উত্তরাখণ্ড। গত কয়েকদিনের তুমুল বর্ষণে যমুনার জল বইছে বিপদসীমা পেরিয়ে। এক রাতের মধ্যে এতটাই বেড়েছে জল যে দিল্লির রাজপথ পরিণত হয়েছে জলপথে। এমনকী মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনেও রীতিমতো বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের তরফে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। টানা ভারি বর্ষণের জেরে ৪৫ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ উচ্চতায় বইছে যমুনা নদীর পনি। দুকূল উপচে আশেপাশের অঞ্চলগুলিও প্লাবিত হয়েছে।
আজ সকাল ৭টার রিপোর্ট অনুযায়ী, জলস্তর ছিল ২০৮.৪৬ মিটার। হরিয়ানার হথনিকুন্ড ব্যারেজ নদীতে জল ছাড়ায় প্রায় বিপদসীমার তিন মিটার ওপরে বইছে জল। যদিও অরবিন্দ কেজরিওয়াল সরকার কেন্দ্রের কাছে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার এবং ব্যারেজ থেকে জল না ছাড়ার জন্য অনুরোধ করেছিল। যদিও ব্যারেজে জলের চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় কেন্দ্রের তরফে বলা হয় অতিরিক্ত জল ছেড়ে দিতে হবে।
হিমাচল প্রদেশে ধ্বংসাত্মক আকার নিয়েছে প্রবল বর্ষণ। উত্তরাখণ্ড পরিস্থিতি ক্রমশ কঠিন হচ্ছে। দিল্লির জনপথ ভাসছে যমুনার জলে এমন দৃশ্য কার্যত নজিরবিহীন। দিল্লিতে ভারী বৃষ্টি না হলেও ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ায় যমুনার জল বেড়েছে। যা ঢুকে পড়েছে রাজধানীতে। ওল্ড দিল্লির পরিস্থিতি তথৈবচ। একাধিক এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।
দিল্লি ট্রাফিক পুলিশের পক্ষ থেকে টুইটারে এক বিবৃতিতে সতর্কতা জারি করে জনগণকে মোনাস্ট্রি এবং আইএসবিটি, কাশ্মীর গেটের মাঝের রিং রোড এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করায় বুধবার সকালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল যমুনা তীরের কাছে বসবাসকারীদের দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জনগণের জীবনের সুরক্ষা করতেই হবে।”
গত কয়েকদিন ধরে টানা ভারি বৃষ্টিতে প্রায় পুরো উত্তর ভারতের জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোতে উদ্ধার অভিযান ও ত্রাণ কাজ জোরদার করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী ও জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী।
আরও পড়ুন, ওড়িশা ট্রেন দুর্ঘটনায় সাসপেন্ড আরও ৪ রেলকর্মী, অভিযোগ 'সজাগ ছিলেন না তাঁরা'