নিউ দিল্লি ও কেশপুর : এবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরের ঘটনার আঁচ পড়ল দেশের রাজধানীতে। সম্প্রতি বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়ে লিফলেট বিলি করা হয়েছে কেশপুরের মহিষদায়। এনিয়ে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি। এই ইস্যুতে এবার ট্যুইটারে সরব হলেন বিজেপি নেত্রী তথা কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ। ঘটনায় তিনি মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। 


ট্যুইটারে লিখেছেন, স্তম্ভিত করার মতো খবর। বাংলায় যাতে সবাই সুরক্ষিত থাকেন, যাতে কেউ একঘরে না হয়ে যান; দেখুন মুখ্যমন্ত্রী। না হলে এটা সত্যিই লজ্জার।


দোকানে গেলে, বিক্রি করা যাবে না জিনিস। খেতে দেওয়া যাবে না চা। তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেবের গ্রাম কেশপুরের মহিষদায় এভাবেই বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীদের নাম করে সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়ে লিফলেট বিলি করা হয়েছে। লিফলেটে বড় করে লেখা রয়েছে, মহিষদা সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস। লিফলেটে যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের অধিকাংশই বিজেপির সদস্য। এছাড়াও, নাম রয়েছে সিপিএম কর্মীদেরও। বিধানসভা ভোটে কেশপুর আসনে তৃণমূল জিতলেও, ১৭৬ ও ১৭৯ নম্বর বুথে এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবার, এই এলাকাতেই সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়ে লিফলেট বিলি করা হয়েছে। যার নেপথ্যে তৃণমূলের হাত রয়েছে বলে দাবি বিজেপির।


ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি তন্ময় ঘোষ বলেন, প্রতিহিংসাতেই সামাজিক বয়কটের ডাক দিয়েছে তৃণমূল। অন্যদিকে কেশপুর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি উত্তমানন্দ ত্রিপাঠির কথায় , বিজেপি মিথ্যে কথা বলছে, তৃণমূল এসব করেনি।


বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, এটা কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, সর্বত্রই একই ছবি। বিজেপিকে জনবিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা, ত্রাণ বণ্টনেও একই চিত্র। 


ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি বলেন, বাংলার চল্লিশ লক্ষ শ্রমিক বাংলার বাইরে গাজিয়াবাদ, নয়ডায় কাজ করেন। সেখান আমরা ইচ্ছা করলে তাঁদের কাজ বন্ধ করে দিতে পারি। কিন্তু, বিজেপি এই রাজনীতি করে না।


অন্যদিকে বিরোধীদের সামাজিক বয়কটের ডাকে ক্ষুব্ধ তৃণমূল সাংসদ দেব। তিনি বলেন, যেই করুক না, ঘৃণা সমর্থন নয়। অহেতুক দলের বদনাম করবেন না।


ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করা হয়েছে। তৃণমূলও থানায় পাল্টা অভিযোগ করেছে চক্রান্ত ও অপপ্রচারের।