নিউ দিল্লি : সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানিগুলির জন্য যে নতুন বিধি আনা হয়েছে, তা যেন মেনে চলা হয়। এই মর্মে ট্যুইটারকে শেষ সুযোগ দেওয়া হল। অন্যথা "ফল" ভুগতে হবে বলে রবিবার তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রকের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।


গত ৪ জুন বৈঠক করেন বৈদ্যুতিন ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। সেই বৈঠকে উঠে আসে, ট্যুইটার নিয়ম মানছে না। সংবাদ সংস্থা ANI সূত্রে সে খবর পাওয়া যায়। এই মাইক্রোব্লগিং ওয়েবসাইট এখনও ভারতে চিফ কমপ্লায়েন্স অফিসার, নোডাল কনট্যাক্ট পার্সন এবং গ্রিভ্যান্স অফিসার নিয়োগ করেনি। 


তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয়তাগুলি মেনে চলার জন্য ২৫ মে পর্যন্ত কেন্দ্রের তরফে সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছিল এই ডিজটাল প্ল্যাটফর্মকে। ২৫ ফেব্রুয়ারি তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত নতুন নিয়মগুলি ঘোষণার সময় কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছিল, কোনও সংস্থা এই প্রয়োজনগুলি মেটাতে না পারলে তারা ইন্টারমিডিয়ারি(মধ্যস্থতাকারী) স্ট্যাটাস হারাবে। 


প্রসঙ্গত, "সিগনিফিক্যান্ট সোশ্যাল মিডিয়া ইন্টারমিডিয়ারিস"(তাৎপর্যপূর্ণ সোশ্যাল মিডিয়া মধ্যস্থতকারী) সেইসব ডিজিটাল মাধ্যমকে বলা হয় যাদের ৫০ লক্ষের বেশি রেজিস্টার্ড ব্যবহারকারী রয়েছে।


নতুন আইটি নিয়ম অনুযায়ী, ট্যুইটার, ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং ও ইন্সট্যান্ট মেসেজিং প্ল্যাটফর্মগুলিকে চিফ কমপ্ল্যায়েন্স অফিসার, নোডাল কনট্যাক্ট পার্সন ও গ্রিভ্যান্স অফিসার নিয়োগ করতে হবে। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের বিজ্ঞপ্তির মুখে পড়েছে ট্যুইটার।


সম্প্রতি ট্যুইটারের নিউ দিল্লির অফিসে একটি নোটিস দিতে গিয়েছিল দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেল। শাসকদলের এক মুখপাত্রের একটি টুইটার ট্যাগ করাকে নিয়ে এই পদক্ষেপ পুলিশের। এরপর ভারতে কর্মরত সংস্থার কর্মীদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে ট্যুইটার কর্তৃপক্ষ। ট্যুইটারের তরফে এক মুখপাত্র বলেন, সাম্প্রতিক ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা ভারতে কর্মরত সংস্থার কর্মীদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। এর পাশাপাশি আমরা যেসব মানুষকে পরিষেবা দিই, তাঁদের ভাবপ্রকাশের স্বাধীনতার উপর সম্ভাব্য হুমকি নিয়েও আমরা চিন্তিত।


উল্লেখ্য, ভারতে দীর্ঘদিন ধরে কৃষক আন্দোলন চলছে। কিন্তু, এনিয়ে সমালোচনা বন্ধ করতে চাইছে মোদি সরকার। এই জাতীয় অভিযোগ তুলে যে সব পোস্ট টুইটারে রয়েছে তা ব্লক করে দিতে বলে প্রযুক্তি মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে একথা বলার পরই গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ভারত সরকার ও ট্যুইটার কর্তৃপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে।