কলকাতা: স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়তেন তিনি। উত্তর কলকাতার অলিতে গলিতে ছড়িয়ে আছে নেতাজির স্মৃতি। কলেজ জীবনে প্রায়ই যেতেন উত্তর কলকাতার বিখ্যাত চপের দোকানে। সেই দোকানের নাম লক্ষ্মী নারায়ণ সাউ এন্ড সন্স। এখন সেই দোকান নেতাজির দোকান নামেই পরিচিত। আর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে অভিনব পদ্ধতিতে এই দিন পালন করে থাকে লক্ষ্মী নারায়ণ সাউ এন্ড সন্স।


১৯১৮ সালে ক্ষেদু সাউ লক্ষ্মী নারায়ণ সাউ এন্ড সন্স দোকানের প্রতিষ্ঠা করেন। পরাধীন ভারতের স্বাধীনতার জন্য সেই সময় লড়াই করছেন সুভাষ চন্দ্র বসু। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে তিনি এমন এক উজ্জ্বল ও মহান চরিত্র যিনি দেশকে ভালবেসে উৎসর্গ করেছিলেন নিজের সমগ্র জীবন। ব্রিটিশ শাসনের কারাগার থেকে ভারতকে মুক্ত করতে প্রাণপ্রাত করতে যিনি সর্বদা প্রস্তুত থাকতেন। মহান স্বাধীনতা সংগ্রামীর জন্মবার্ষিকীতে চা এবং চপ খাওয়ায় সাউ লক্ষ্মী নারায়ণ সাউ এন্ড সন্স কর্তৃপক্ষ। বছরের পর বছর এই রীতি চলছে।

লক্ষ্মী নারায়ণ সাউ এন্ড সন্সের বর্তমান মালিক কেষ্ট কুমার গুপ্ত (সাউ) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর ঠাকুর্দার সঙ্গে নেতাজির বহুবার দেখা হয়েছে। নেতাজির সঙ্গে তাঁদের ১০৩ বছরের সম্পর্ক বলে জানিয়েছেন কেষ্ট কুমার গুপ্ত (সাউ)। তিনি বলেন, আমার ঠাকুর্দার সঙ্গে প্রায়ই তাঁর গল্প হত। আমাদের দোকান থেকেই তিনি খাবার খেতেন। কাঁচা লঙ্কা দিয়ে মুড়ি, চপ খেতেন তিনি। কলকাতার বিখ্যাত মাটির ভাঁড়েই চা খেতেন তিনি। সেই সময় নেতাজি স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়তেন।

১৯৪২ সালে ২৩ জানুয়ারি থেকে ক্ষেদু সাউ তাঁর বন্ধু, প্রতিবেশীদের চপ, মুড়ি খাওয়াতে শুরু করেন। উপলক্ষ্য নেতাজির জন্মদিন। সেই রীতি এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁর উত্তরসূরিরা। সংবাদমাধ্যমেক খবর অনুযায়ী কেষ্ট কুমার গুপ্ত বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৪৮ সালের ২৩ জানুয়ারি আমরা নেতাজির ছবি দিয়ে বোর্ড তৈরি করি। বিনামূল্যে সবাইকে চপ দিতে শুরু করি। দুটো চপ দেওয়া হয় শিশুদের। বড়দের জন্য বরাদ্দ ৪টে চপ। মূলত আলুর চপ, ফুলুরি, পেঁয়াজি, ফুলকপির চপ দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।